(১)
ফটিকদাদা পড়েছে মুস্কিলে ,
তার হবু বউ মণিকা কবিতায় চিঠি লেখে ;
কবিতায় সে উত্তর চায় ফটিকদাদার কাছে ।
ফটিক এখন ,সারাদিন শুধু কবিতায় কথা বলে ।
বাড়ীর লোকেদের রোজদিন ,তাই মুস্কিল আরো বাড়ে ।
কাজের লোকেরা একটু আড়ালে ,হাসাহাসি কোরে মরে ।
(২)
সেদিন ছিলো ,
ছোড়দার ছেলের মুখেভাত ।
ফটিকের  তখন কবিতাঘাত ।
মা ডাকে-ওরে ফটকে ,
রসগোল্লা কি দোকান থেকে এলো ?
ফটিক তখন দৌড়ে নেমে ,
চৌকিদারকে কবিতায় প্রশ্ন করে–
দেখেছো কি তুমি সেই মৃত-পাত্রগুলি ?
যাহাতে ভরা আছে –
রসে ভরা, শ্বেতকায় গোলাকর খাদ্য বস্তুগুলি ?
কবিতাময় প্রশ্ন শুনে ,
ছাপরাবাসী মিশিরলালের ,চোখগুলো গোলগোল ।
মিশির বলে –
ফটিক ভাইয়া, তোমার কি হেডের গোণ্ডোগোল ?!
(৩)
ফটিকদাদার বড় মুস্কিল,
কবিতার মিল খুঁজে ,জীবনটা হ'ল  কাহিল ।
মিলের খোঁজে বাথরুমেতেই  অধিক সময় কাটে ,
বাকি সময়ে বুকে বালিশ ,চিঠি নিয়ে খাটে ।
মণিকার চিঠির জবাবের খোঁজে ,ফটিকদা হয়রাণ  -
শব্দে শব্দে মারামারি হয়, যায় শব্দের প্রাণ ।
ফটিকদা তাই ভাবছে গভীরভাবে ;
মণিকাকে ছেড়ে , হরিনামের ঝুলি নেবে ,
অষ্টোত্তর শতনাম শিখে,বৃন্দাবনে যাবে।
কবিতার ধাক্কায় ,
মণিকা কি তবে রাধিকার বেশ নেবে ?
---অকবি