এসেছে শরৎ , হাওয়ায়   লেগেছে হিমের পরশ ;
মা দশভুজার অকাল বোধনের জোগাড় প্রায় শেষ ,
ঢাকের বাদ্যি আর উলু-শঙ্খ ধ্বনিতে ,
মায়ের আগমনীর উৎসবের রেশ ।
মাগো , জয় মা তোমার জয় ;
রাবণ ও মহিশাসুরের ত্রাস বিনাশ করে ,
তুমি অজেয়া -শক্তিরূপেন সংস্থিতা ;
দেবতা ও জনগণের- তোমায় অসীম আস্থা ।


আমার ছোট্ট আর্জি তোমার কাছে ,
যারা তোমার মুখ চেয়ে আছে ;
সহায় সম্বল নেই যাদের কাছে ,
তাদের যেন কিছু ইচ্ছা-পূরণ হয় ;
জয় মা  ,তোমার জয় ।
দু-চারটি আবেদন ,মা তোমার কাছে -
অনেক দিনই জমা আছে ; পেশ করছি এখন -
প্রথম আর্জি :
আমার অনূঢ়া  বোন কৃষ্ণা  ,
ওর যেন মানসের সাথে বিয়েটা , এই অঘ্রাণেই হয় ।
জয় মা তোমার জয় ।
দ্বিতীয় আর্জি :
আমার প্রিয় ছোট ভাই  প্রকাশ ,
ওর শেষ চাকরির ইন্টারভিউটায় যেন সফল হয় ;
জয় মা তোমার জয় ।
তৃতীয় আর্জি :
আমার মার হাঁপানিটা বড় কষ্ট দেয় ,
ওটা যেন তারকনাথের মাদুলিতেই একদম ঠিক হয় ;
জয় মা তোমার জয় ।
চতুর্থ আর্জি :
আমার বাবা ,পঙ্গু  হয়ে দশটি বছর  বন্দি বিছানায় ,
বড় কষ্ট পায় , অনেক কিছু বলতে চায় বোবা কান্নায় ;
এবার যেন বাবা মুক্তি পায় , তোমার দয়ায় ।
জয় মা তোমার জয় ।
শেষ আর্জি :
আমার কলেজের প্রেমিকা  সানিয়া-
এই বেকার ফালতু ছেলেটার সাথে ,ঘর বাঁধতে চায় !
ও যেন একটা অনাবাসী সুপাত্র পায় , জলদি বিবাহ হয় ।
জয় মা তোমার জয় ।


জানি আমি ,
বিশাল সব প্যান্ডেলের জমকালো উৎসবে ,
নেতা , মন্ত্রী ও ফিল্মস্টারদের ওজনদার প্রণামীর নীচে ;
হয়তো আমার ছোট্ট আর্জিগুলো নিখোঁজ হবে ,
তবুও মা তুমিতো , সর্বভূতেষু  মাতৃরূপেন সংস্থিতা ,
তোমার ওপর ,আমাদের আছে পুরো আস্থা ।
তুমি এবারে -আর্জিগুলোর করবে  নিশ্চিত ব্যবস্থা ,
মা, বাবা, ভাই, বোন - সবাই দেখছে তোমার রাস্তা ;
বড় মানুষেরা অনেক পেয়েছে, পাচ্ছে এবং পাবে ;
প্রতিবছর তোমার মাগো, বিজয়োৎসব তো হবে ।
আমাদের ছোট  ইচ্ছাগুলো , কবে পূরণ হবে ?!
                                 - অকবি-
(   কবিতাটির নাম ও শেষাংশে একটু  পরিবর্তন করলাম )