সেদিন রাতের বেলা কবি কবি ভান করে ,
কবিতার কথা ভাবছি ;
একটা দুটো লাইন  ধরে ,  আস্তে আস্তে টানছি ।
এমন সময় বাঁশবাগানের উঁচু ডগায় -
একটা যেন আবছা ছায়া হাওয়ার সাথে দুলছে ,
আমায় দেখে  দাঁত কেলিয়ে ,খ্যা খ্যা করে হাসছে ।


  ছায়াটা অট্টহাসি হাসলো ,
জানলাগলে  ঝুপুস করে আমার পাশে বোসলো ।
হকচকিয়ে আঁতকে উঠে , বুকটা আমার কাঁপলো ;
আবছা ছায়া আরেকবার অট্টহাসি হাসলো ।
কানের পাশে ফিসফিসিয়ে  আমায়  যেন বোললো -
'আমি তোর অপঘাতে মৃত পরিত্যক্ত কবিতার ভূত ,
আমায় চিনিস না , ব্যাপারটা দারুণ অদ্ভুত !
রোজই তো গন্ডা গন্ডা কবিতাকে মশার মত  মারছিস ,
মাটি ছেড়ে আকাশ দেখে , আবোলতাবোল লিখছিস ;
মানুষের দুঃখ নিয়ে শব্দ-ধাঁধা খেলছিস ।
  কখনো কান পেতে শুনিস না -
  মাটি - পাহাড়- সমুদ্রের বুকের চাপা  কান্না ;
তবুও কবিতার পাতা ভরে দিস -
নকলি অশ্রুর কৃত্রিম বিড়ম্বনা ।
কবিদের এই মিথ্যাচারে  ,
কবিতাধামের অসহায় বাসিন্দারা মর্মাহত :
সমস্ত কবিতাভূতেদের আজ অনশন ধর্মঘটের ব্রত ।
আজ আমাদের মরিয়া অভিযান ,
ছদ্মবেশী হত্যাকারী কবিদের  মুখোশ ধরে টান ।
কবিতার জীবন ও সন্মান- বাঁচাতে হবে , বাঁচাতে হবে;
কবিতাঘাতি কবিদের কলমগুলো-
রুখতে হবে , ভাঙতে হবে ।'


কবিতাভূতের শ্লোগান শুনে ,
দুচোখ আমার তালের বড়া ;
বুকের ভিতর হৃদযন্ত্রের  , অস্থির ওঠাপড়া ।
কবিতাভূতকে সাক্ষী রেখে শপথ নিলাম সেদিন ,
অসত্য  কবিতা আর লিখবোনা কোনদিন ।
পাতায় পাতায় কবিতা হত্যা এখনই বন্ধ হোক ,
অপঘাতে মৃত কবিতাভূতেদের পূনর্জন্ম হোক ।
কবিতাধামে বন্ধ হোক ধর্মঘট ও অশান্তি ,
ওঁ শান্তি , ওঁ শান্তি , ওঁ শান্তি ।।
                                                  অকবি