হরি, দিন তো গেল সন্ধ্যা হল ;
আরেকটি দিন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে  পার হল ।
অপচয় হল দিনের আলো আর হাওয়া  ,
অবসন্ন  দিনটি শেষ হল ,  
অন্ধকারে মুখ লুকালো দুনিয়া ।


দিনের পর দিন কি কোরলাম ?
সারাদিন অজায়গায় বেজায়গায় ,
নোংরার স্তুপে খুঁটে খুঁটে কিছু পোকামাকড় খেলাম ।
বিকেলে ফেরার পথে দু-চারটি জোনাকি ধরে ,
বাবুই-বাসার মত ঘরে ঢুকে পরলাম ।
জোনাকি জ্বালিয়ে ,
দুচারটে চিরতার মত বিস্বাদ কবিতা লিখে ;
নিজের প্রতিভায়  নিজেই খুশি হয়ে বাহবা দিলাম ।
সেই গর্বে  , পানের পিক ফেলার মত,
বেশ কিছুটা বীর্য্য থুকে দিলাম -
আমার কৃতদাসী  নারীর শরীরের গভীরে ।
তারপর একটা ঘুমের গুলি খেয়ে ,
তলিয়ে গেলাম অজ্ঞানতার সুখের অতলে ।


সারা জীবনটা কি কোরলাম !
অজ্ঞতা আর অহঙ্কারের বেসাতি ,
গুলাম বানানো নয়তো গুলামীর কেরামতি !
মনুষ্যত্বের প্রগতির ইতিহাসের বর্জ্য জঞ্জাল ;
মানুষ নামের একটা জীবন্ত কঙ্কাল ।
আমি কি মানুষ প্রজাতির বেজন্মা বংশধর ?
মানুষের ঔরসজাত জীবনের  একটা টুকরো লজ্জাকর !


হরি দিন তো গেল , সন্ধ্যা হল ;
নধর সুখের জীবনটা বেশ চেটেপুটে খাওয়া হল ।
পরিচয়পত্রে নামটা -'মানুষ' আর ধর্ম -'মনুষ্যত্ব' লিখতে ,
জীবনটাকে বদলাতে হবে মানুষের মত বাঁচতে ।
                                                                     - অকবি -