একটা এঁটো শালপাতা ,
চুপচাপ অপাংক্তেয় উচ্ছিষ্ট ,
ফুচকার ঠেলার পাশে নর্দমার ধারে ।
গভীর রাতে নির্জন অন্ধকারে ,
আমাকে কাছে ডাকে ,
ফিসফিসিয়ে কথা বলে ।


এঁটো শালপাতাটা প্রশ্ন করে -
মহুয়াটাঁর গাঁয়ের পাশে ,
শাল, শিমুল,পলাশের জঙ্গলটা জানো ?
আমার জন্ম হোথায় ,
ছিলাম সুখে চাঁদসূজ্জির সাথে সেথায় ।
সারাদিন উতল হাওয়া ,
টিয়ার ঝাঁকের দিনভর কথা কওয়া ;
কাঠবিড়ালীর কিচিরমিচির ,
একটু দূরে পাহাড় চূড়ায় -
মেঘের ঝাঁকের গুরুগুরু ;
বসন্তের  উত্তপ্ত গরম হাওয়ায় -
শিমুল পলাশের রক্তিম প্রণয় বার্তা ।
হঠাৎ জঙ্গলে ঠিকাদার দলের হানা ,
ছিন্নভিন্ন হলাম সবান্ধবে ;
শহরে বিকিয়ে গেলাম -
ফুচকার এঁটো পাতা হয়ে ।


এঁটো শালপাতার অশ্রুসিক্ত আবেদন -
শেষবার আমায় পৌঁছে দাও বন্ধু ,
পাহাড়ের গা-ছোঁয়া -
মহুয়াটাঁর গাঁয়ের পাশের জঙ্গলে
স্বজন বান্ধবের ভালবাসার কোলে ।
                                  - অকবি-