আমি তোমার পথে দাঁড়িয়ে ছিলাম তোমাকে দেখবো বলে,
দেখেছিলাম ঠিকই, তুমি দেখেও দেখোনি।
আমি তোমাকে হৃদয়ের সবটুকু অনুভূতি দিয়ে ডেকেছিলাম।
শুনেছ কি শুননি, বুঝতেই পারিনি।
তোমার পানে হাত বাড়িয়েছিলাম একটু ছোঁয়ার আশায়।
আশা ছিল কাছে টেনে নেবে পরম ভালোবাসায়।
হয়ত তুমি বুঝতেই পারোনি।
কাটাময় তোমার জীবনে একটু শান্তির উপলক্ষ হতে চেয়েছি।
তোমার জীবনে শান্তি হয়ত এসেছে, আমি থেকে গেছি দূরে।
তোমার মঙ্গল কামনায় সারাজীবন প্রার্থনা করেছি।
বিধাতা তোমাকে মঙ্গল হয়ত দিল কিন্তু সেখানে আমি আর তোমার হলাম না।
পৃথিবীর কাছে তুমি আজ অতি প্রয়োজনীয় মানুষ হয়েছ।
যার কাছে পৃথিবী ছিলে সে রয়ে গেল দরজার আড়ালে।
তোমাকে হারানোর ভয়ে দুনিয়ার কাছে ভয়ংকর ভীম আমি
বেড়াল ছানার মত কুঁকড়ে থেকেছি, ডুকরে কেঁদেছি।
প্রেমের শাস্তি যেন তোমাকে পেতে না হয় এই কামনায় দূরে থেকেছি
অনেক অনেক দূরে থেকেছি।
এই ত্যাগ তোমাকে কাছে না টেনে দূরেই নিয়ে গেল নিষ্ঠুর ভাবে।
যদি জানতে, যদি বুঝতে কতটা কষ্ট নিয়ে কি কারণে আমার এই পলায়ন
তাহলে হয়ত আর যাই হোক বলতে পারতে না
"আপনি ভালোবাসার মর্মই বুঝেন না।"
বহুদিন পরে তোমার কন্ঠ শুনে একটু শান্তি পেতে চেয়েছি।
তা চাওয়ার অধিকারও বোধহয় হারিয়েছি নিজেরই অজ্ঞতায়।
যেভাবে বুঝতে পারিনি কখন তুমি আমার ভেতর বাসা বেধেছ নীরিব ঘাতক,
সেভাবেই বুঝিনি কখন ধীর পায়ে দূরে চলে গেছ একটু একটু করে।
তোমার জীবনে আমি হয়ত ছোট একটা ভুলের অধ্যায়।
আমার কাছে তুমিই যে কখন জীবন হয়ে গেছ সেটাও বুঝিনি।
আর কোন চাওয়া নেই, আর কোন আশা নেই।
ভালো থেকো, অনেক অনেক ভালো থেকো।
এতটা উচ্চতায় আসীন হও যেখান থেকে আমাকে ছোট্ট একটা স্ফুলিঙ্গ মনে হয়।
আমি শুধু কবি গুরুর সুরে মন্ত্রের মত বলে যাব -
" স্ফুলিঙ্গ তার পাখায় পেল ক্ষণকালের ছন্দ ।
উড়ে গিয়ে ফুরিয়ে গেল সেই তারি আনন্দ ॥ "