বাস স্ট্যান্ডে অনেক লোকের ভিড়ে
করছিলাম গাড়ীর অপেক্ষা ধৈর্য ধরে।  
রং বেরংয়ের মালা পরা আজব এক নারী
বলল এসে, দে আমায় কিছু টাকা কড়ি।
অবাক চোখে বার বার তাকিয়ে
গেলাম একেবারে ভিরমি খেয়ে।
ভাবলাম উপরে চোখ তুলে একবার
মামার বাড়ির করছেনা তো আবদার।
কিন্তু না, মামার বাড়ি নেই এমন বন্ধ্যা
সং সেজে ভং ধরে করবে আজব ধান্ধা।
আবারও বলল, আমায়  হাঁক মেরে
দে দু’শ দে, নইলে কৃষ্ণ  যাবে ছেড়ে।  
আমায় চুপ থাকতে দেখে বলল না না না
কৃষ্ণ তোর ভালো করবেই না।
দেখিস তুই
বলে গেলাম মুই।
বুঝবি যখন খারাপ কিছু হয়ে যাবার পরে
পাবি না খুঁজে তখন, পাবি না মোরে।
খাই না আমি খাই না সকলের খাবার
তুই ভালো তাই দাঁড়ালাম বরাবর।
এসেছিলাম ইচ্ছে নিয়ে কিছু দেবার তরা
একজন এসে বলল, এর কাজ হল ধান্ধ্যা করা।
যান আপনি যান
কেন শুধু শুধু দাড়িয়ে আছেন?  
গাড়ী আসতেই দৌড়ে গিয়ে ধরলাম দরজার রড
ভং ধরা ভিখারী তাকিয়ে থাকল চোখ করে কটমট।
সিটে বসে লাগিয়ে দিলাম গ্লাস খানি
পরের দিন আবার দিতে হবে কোরবানি।
কোরবানির ঈদের দিন সকাল বেলা
এলো এক ভিখারী খালা।
দিলাম তারে দশ টাকার নোট
টাকা নিয়েই দেখাল এক ছোট।
সেমাই দিবি না শুধু টাকা দিস
বললাম, সেমাই রাঁধি নাই আছে হালিম নুডুলস।
চোখ পাকিয়ে বলল সে, করতে ফোঁস ফোঁস
কি! তুই আমায় মিথ্যা বলছিস?  
দুপুর থেকে দলে দলে ছেলে মেয়ে জোয়ান বুড়া
ধরনা দিচ্ছিল গোস্তের জন্য নিয়ে লগে গুড়াগাড়া।
দলে দলে ভিখারী আসতে দেখে
ভয়ে ঢুকে গেলাম দরজার ফাঁকে।
মা এক এক করে গোস্ত দিয়ে চলেছেন
কয়েক দলকে গোস্ত দিয়ে একটু ঘরের দিকে গেলেন।
ত্রিশ উর্ধ এক যুবক অমনি গোস্ত না পেয়ে
রাগে পেয়ারা সহ ডাল গেল ভেঙ্গে নিয়ে।
একের পর এক আসতে থাকল ভিখারী দল পাকিয়ে
গোস্ত দিয়ে পারেননি মা নিতে একটু ঝিরিয়ে।
ঐ বেটি গোস্ত দে বলে কিছু লোক করল বকা ঝকা
বুদ্ধি লোপ পেয়ে মায়ের মাথা হল যেন ফাঁকা।  
খয়রাত নিতে চোখ পাকানো আজব সব ফকির
দেখে মায়ের বুক করতে লাগল ধড়ফড়।  
প্রেসার উঠে বসল মা মেঝেতে  
তেল পানি দিচ্ছে মায়ের মাথায় নাতি পুতিতে।
আসতেছিল ভিন্ন ভিন্ন দলে ফকির আরও কিছু
অসুস্থ মাকে দেখে তারা হটল পিছু।  
ফকিরদের এমন আজব কর্ম কাজ
জীবনে দেখিনি হয়েছে যেটুক বয়স পাছ।
বছর অধিক করোনায় কর্মহীন মানুষ
হচ্ছে না তো খুদায় একেবারে বেহুঁশ?
সেদিন কি আসছে তাড়াতাড়ি?
খুদার জ্বালায় দিবে একজন আরেকজনের মাথায় বাড়ি।