স্নিগ্ধ কোমল শান্ত প্রভাত
কিয়দ ব্যস্ত কিয়দ নিরবত।


আলো-আঁধারের আবছা ছায়া
কিছু আগে ত্যাগ করিলো মায়া।


গড়গড়িয়ে চলছিলো পড়া মুখস্ত
করিতে হইবে সব টোটস্ত
নইলে স্যার রাখবে না যে আস্ত।


নেই কথা নেই যে আহার
পড়া নিয়েই শুধু ব্যস্ততার
পড়া নিবেন যে ঈদ্রিস স্যার।


ছেলে-মেয়ে হবেনা বাচ-বিচের
স্যার যে টঙ্গী শহীদ স্মৃতি স্কুলের।


আফাজ স্যার বসু স্যার বেলায়েত স্যার
সিরাজ স্যার ছিলেন মহান যতো স্যার
সবার কথা মনে করিয়ে দেন ঈদ্রিস স্যার।  


ছেলে-মেয়ে সবেই ছিলো তার নিকট সম
না পারিলে পড়া সেদিন নাহি সে পায় ক্ষম।


ইনিয়ে বিনিয়ে কতোজনে বলিল স্যার
কশ্মিনকালেও এমন হইবেনা যে আর।


ঘা মেরে সেদিন ছয় ক্লাসে বুঝালেন ঈদ্রিস স্যার
ওরে, স্যার স্যার নয়,
নয় অন্য কোন বাহানা আর।
এক্ষুনি না পড়িলে ভবিষ্যত তোর খুবই আঁধার
শিক্ষক হয়ে কেমনে পারি এমন ক্ষতি মানিবার
যদি শিক্ষক হয় ছাত্রের দ্বিতীয় জন্ম দাতার।