খাই্তে দিতে বলি নাই,
টুকু শ্বাস লিতে দে !
তাজা বাতাসটো আইসতে দে
উটাতে বিষ ভইরে দিসনা।


বাতাসে কালা ধূলা ছাঁইয়ে গেছে
সকালের সূয্যিটাও কেমন আন্ধাইরা লাগে,
গাছের হরা পাতাগুলাও কেমন রঙ হারাইছে
পৈসায়ালাদের উঁচা উঁচা দালান থাইকে
ভকাপিঁধাদের পেলাষ্টিকের ঝুপড়িগুলান তক্ক
কৈলাগুঁড়ার পারা কালা বিষে ঢাইকে যাছে
মানুষের বুকের খাঁচায় পীচ রাস্তা ঢাইলে দিছে
বিষ বাতাস গটা শহুরটোকে বিষাই দিলেক হে।


জম্মেরলেই ই শহুরটোকে দেখছি
তখনও তো কৈলার এঞ্জিনের কালা ধুঁয়া উইঠত,  
ঘরে ঘরে কৈলা ঘুইটার চুলাহ জ্বইলত,
চাঁদমারির মাঠে পাহাড় চূড়া জবরাও পুড়ইত
তবুও মানুষজন তাজা শ্বাস লিত
ফুলবাগিচায় হরেক রঙের ফুলও ফুইটত
কাঁসাইয়েও কুলকুল কইরে সাফা জল বইত
হাসপাতালের বিছনায় রোগীও কম থাইকত ।


মাইনে লিছি শহুরটার রূপের বাহার বাইড়েছে,           চকচইকা সড়ক, আল ঝলমইলা উড়াপুল,  
রাস্তার মোড়ে মোড়ে আল জ্বালা সিগন্যাল,  
তিরশুইলা বাতি, চারতলা মনোহারী দুকান
বড় বড় মন্দির, মসজিদ আরও কত কি ।
ইসব লিয়ে কি হবেক বাবু !
যদি মানুষগুলাই না বাঁচে?
হাসপাতালগুলাই খবর লে
কাঁকড়া রোগে রোজেই লোক মইরছে
ভাইবে দেইখেছিস কেনে ঘরে ঘরে ক্যানসার ?


না বাবু কারখেনা লিয়ে কুছু বলার নাই।
ঘরে ঘরে বেরোজকারী দিনদিন বাড়েই চইলেছে কারখেনাগুলাই ছিল্যাপুল্যাদের আশার আলো ।  
হামরা সবাই চাই কারখেনা আরও হোক  
তবে সিটা শহুর থাইকে টুকু দূরে।
কারখেনার মালিকদিকেও বুইঝতে হবেক মানুষের জানের দাম কারখেনার যন্তরগুলার চাঁইয়ে ঢের দামী।
দেশ যখন চাঁদে রকেট পাঠাইতে পাইরছে,
দুনিয়া ধ্বসানো মারণ রোগকে রুইখে দিতে পাইরেছে, দেশের সীমানায় হামদের বীর জওয়ানরা শত্তুরদের বোমা গুলিকে রুইখে দিতে পাইরছে, তখন এই কালা বিষকে রুইখে দিয়া তো নস্যি । ই সময়ে বিজ্ঞানকে ভুইললে চইলবেক ? ন’কি সব জাইনেও মুনাফা কইরতে মানুষের সব্বনাশ করছিস?
ইয়ার লাইগে লাল হরা গেইরা ঝন্ডা ভুলে শহুরের সব মানুষকে এক হইতে হবেক,
কারখেনার মালিকদের বুঝাই দিতে হবেক শহুরের মানুষের জান লিয়ে ফাটকাবাজি আর চইলবেক নাই ।


ই আকাশ সবকার, বাতাসটাও কারু বাপুইতা সম্পত্তি লয় । শ্বাস লিয়াটাও কারুর মর্জিতে চইলবেক নাই । বাতাসের কালা বিষকে নিকাষ না করা তক্ক হামদের এই লড়াই চইলবেক।