গঁসা করিস কেনে ?
তর সগেঁ পহিল দরশনে
ডাগর ডাগর চইখ্যে
সিধাসাপটা চাহনি
ভালবাসার পহিল কহানি ।


যাবৎ তখে পালি
লত্যন করে বাঁচলি
ছন্নিছাড়া জীভনে
পরথম পেরমের আরশি
তখে যে পানেল্লেও ভালবাসি ।


সুখ-দুখের জীভনে
জাঁড়্যে কিম্বা ধরণে
তুঁহেই হামার সুয়াস্তি
তাই তুঁহার হামার জুড়ি
যেমন কেন্দ ফুলের কুঁড়ি ।


তুঁহার সঁগে পঁচিশ বছর
বাঁট্যে লিলি সভ বরাবর
টুকু তুঁহেই জুঁখ্যে আছিস
শির ঊঁচায়ে দাঁড়াতে হরদম
দিয়েছিস বহুৎ, লিয়েছিস কম ।


(কবিতাটি ছোটনাগপুর অঞ্চলে প্রচলিত কুর্মালি ভাষায় রচিত)


বাংলা তর্জমা


রাগ করছিস কেন ?/ তোর সাথে প্রথম সাক্ষাতে/ তোর বড় বড় চোখে/ সরলতা ভরা দৃষ্টিতে/ ভালোবাসার প্রথম সূত্রপাত ।
যখন থেকে তোকে পেলাম/ নতুন করে বাঁচলাম/ ছন্নছাড়া জীবনে/ প্রথম প্রেমের আয়না/ তোকে যে প্রাণের থেকেও বেশী ভালবাসি ।
সুুখ-দুঃখের জীবনে/ শীতে কিম্বা গ্রীস্মে/ তুইই আমার স্বস্তির কারন/ তাই তোর-আমার জুটি/ যেন কেন্দু (যে গাছের পাতা বিড়ি তৈরীর কাজে লাগে) ফুলের কুড়ির মতো ।
তোর সাথে পঁচিশ বছর/ সবকিছু সমান ভাগ করে নিয়েছি/ তবুও তুই সামান্য হলেও এগিয়ে আছিস/ আমাকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে/ তুই প্রচুর ত্যাগ করেছিস, ভোগ করেছিস কম ।