চার হাজার বছর ধরে
একে অপরকে জড়িয়ে
আজও ওরা শুয়ে আছে ।
ওরা কি বৈধ দম্পতি ?
নাকি নিষিদ্ধ প্রেমে মত্ত !
হয়তো কোন যুবক নাবিক
দুরদেশে পাড়ি দেবার আগে
প্রিয়ার আলিঙ্গনে পেয়েছিল
আগামী দিনগুলোর রসদ ।
হয়তো কোন রূপবান শিল্পী
প্রেমিকার শরীরেই পেয়েছিল
অনাবিস্কৃত শিল্পের মাধুরী ।
হয়তো দুই কৃষক নরনারী
মাঠের সবুজ ফসলের স্বপ্নে
পরস্পরকে বাহুডোরে বেঁধে
কামনাকে করছিল প্রশমিত ।
জানা নেই ! তবে এটা জানি
সমূদ্রের প্রলয়ঙ্করী রুদ্রমুর্তি
হঠাৎ গ্রাস করেছিল ওদের  
অগণিত নরনারীর সাথে ।
তখন ওরা তৃপ্তির শিখরে
একে অপরের বুকে আশ্রিত ।
হাজার হাজার বছর ওরা
এমনি করেই জড়িয়ে থাক
কাঁচের বাক্সে কঙ্কাল হয়ে ।
প্রেম ছিল আছে থাকবেও
পৃথিবীর হৃদস্পন্দন হয়ে ।


(গুজরাটের লোথাল নামক স্থানে “হরপ্পা” নগরীর ধ্বংসাবশেষে পাওয়া পরস্পর আলিঙ্গনরত নর-নারীর দুটি কঙ্কাল সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ পড়ে তাকে কাব্যরূপে ধরার এক নিস্ফল প্রয়াস )