টুপটাপ নিভে গেলে শহরের আলো
ঘুটঘুটে আঁধারেই লাগে বড় ভালো ।
কানে আসে কুকুরের বিষাদ বেহাগ
কখনও বা মাতালের পত্নী সোহাগ ।
হেঁটে যাই আনমনে চেনা অলিগলি
এলোমেলো পা-ফেলে টলোমলো চলি ।
সরে যায় ল্যাম্পপোষ্ট সরে ঘরবাড়ি
ফ্লাইওভারের নিচে শুয়ে সারি সারি ।
দেবশিশু ফুটপাতে মেখে ধুলোবালি
কপট মুখোশটাকে করে ফালিফালি ।
মুখ ঢেকে দৌড়াই পিছনেতে ত্রাস
রাজপথে এসে ফেলি চাপা নিঃশ্বাস ।
হঠাৎ সামনে দেখি মালবাহী লরি
চোখধাঁধা আলো মাঝে ঈশ্বর স্মরি ।
মৃত্যু সামনে পিছে বিবেক দংশন
না খাওয়া শিশুদের আর্ত ক্রন্দন ।
আশেপাশে চরিদিকে খুঁজি অন্ধকার
লজ্জায় ধিক্কারে জীবনের হাহাকার ।
মৃত্যু অমোঘ জেনেও কেন অনীহা
নিজেকেই বাঁচাবার কেন এই স্পৃহা ?
ভাবিনিতো কখনোই অন্যদের কথা
দৈন্যতার অন্ধকারে অসহায় ব্যাথা ।
করেছি নিজেই শুধু নিজের প্রতিপত্তি
আজ আমি মরলেও কার কি ক্ষতি ?