সিলিং ফ্যানে ঝুলছে আমার মরহেদ।
ঠিক পাঁ বরাবর কাঁত হয়ে পড়ে আছে পড়তে বসার চেয়ারটা।
সারাটা রাত ঝুলছে,
রাত তিনটে,
আমার আত্মা ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদছে রুমের উত্তর-পশ্চিম কোণে।
দেহ ঝুলছে।
অসহায় আত্মাটির চোখ পড়ে বারবার ঝুলানো দেহের পায়ের বুড়ু আঙুলে।
আবার কাঁদে মাথা নিচু করে।
কালি শেষ হওয়া কলম দিয়ে লিখে ছিলেম সুইসাইড নোট।
কাগজটাতে লিখা ছিলো আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ বাকিটা ঝাপসা।
কালি শেষ।
কাগজটা বাহিরের ধমকা হাওয়ার কারণে পুরো রুম ঘুরপাক্কাচ্ছে।
ফজরের আজান হচ্ছে।
সবাই মসজিদের দিকে এগুচ্ছে।
প্রতিদিন কেউ না কেউ আজানের সাথে সাথে আমার রুমে প্রবেশ করে নামাজের এলান দিতে।
দূর্ভাগ্য বশত আজ এমন দিনে আত্মহত্যা করলাম কেউ আমাকে ডাকতে এলোনা।
সেই কবে মধ্যরাতে ফাঁস লাগিয়ে ছিলেম এখনো ফাঁস পড়েই আছে।
এখন পাঁচটা বেজে কিছু সময় হলো কেউ আমার দেহ নামায় নি।
ফাঁস লাগানোর ঠিক দশ মিনিট পর আত্মা বের হয়ে গেলো এরপর দেহ শিতল হলো এখন কাঠের মতো শক্ত অবস্থায় ঝুলছে।
কেউ নেই আজ রুমে।
শুধু দেহের আত্মাটা ছাড়া।
জন্মানোর পর নিজেকে জন্ম না দিতে পারার শোকে ভেতরটা ধুকে ধুকে মরছিলো।শোক মিঠাতে একেবারেই মরে গেলাম।
বেঁচে গেলাম অসহ্য শোক থেকে
অতপর নাম দিলাম আত্মহত্যা।