মা বলে সোনা,
আজিত্ তোর ফলাফল যে দিবে!
শুনে সেই কথা-
  ভাবে ছেলে- কি জানি হবে?
একা একা কাটল্ দিন
  ভয় যে তার অন্তহীন।
পরীক্ষা যে সবেই ম্যাট্রিক,
ফলাফল না দিলে সবি থাকত ঠিক।


সারাদিনের ক্লান্তি শেষে,
  সু-খবরটাই শুনল এসে।
অভিনন্দন জানায় সকল প্রতিবেশী
দেখে সব,পালাল ক্লান্তি যে সব,
  সে যে এখন মহা খুশী।


আনন্দে যে কাটল্ কদিন
বোন আসিল দেখতে সুদিন।
বলিল বোন,
ওরে ভাই যাবি আমার বাসায়?
আমি যে এসেছি কতইনা আশায়!
বলল ছেলে,
না! না!  - যাবনা যে আমি, লাভ নেই বলে মিছে,
বাকিটাত জানই মায়ের ইচ্ছে-


বলতেই সে কথা বড় আপুকে
অবলার মত আছে তাকিয়ে চোট ভাইটির দিকে।
কিছু না বলে বোন গেল চলে,
ছেলে চিন্তায় মগ্ন-মা কি যে আজ বলে।
রীতি মত সন্ধ্যায়-আসল খোকা বাসায়
মা আছে বসি তারি অপেক্ষায়।
কিরে বাবা !  ছিলি বলত্ কোথায়?
কালই তোকে যেতে হবে চান্দিয়ারায়।
ভাবল সব কথা,
মাকে দেয়া যাবেনা ব্যাথা।
বুঝিল সে অচিরে,
যেতে যে হবে বোনের তরে।


মনটি করে খারাপ, মায়ের সাথে করল আলাপ
নিজ গৃহ ছাড়ি, আসল বোনের বাড়ি।
সব কিছু যদিও অচীন,
নাসির কে পেয়ে মনটা হল উদাসীন।
পড়াশুনা করতে হবে সেটাও ছিল মনে,
তাই ভেবে রেদোয়ান কলেজ ভর্তি হল দুজনে।
পড়ালেখার পাশে চলছে আনন্দ-
সব মিলিয়ে দিন যে তার কাটছে না মন্দ।
মাস ছয়েক পর,ভাবনা আসিল অন্তর।
নাসিরকে নিয়ে পুকুরেই করিবে গোসল,
গোসলেও ছিল আনন্দের ঢ়ল।
হঠাৎ নাসির বলে দেখনা তাকিয়ে!
তোকে যেন দেখছে কেউ পাড়ে দাঁড়িয়ে।
একটু খানি দেখেই বুঝিল সেথায় এক তরুণী
সে নয় শুধু তরুণী,সে এক মায়াবিনী  !
সে দিন হতে একটু একটু করে,
ঠাই দিয়েছে তাকে মনের ঘরে।
কিছুই ভাল লাগতনা তার
তুচ্ছ ধরণী,
সে নয় শুধু তরুণী,সে এক মায়াবিনী।


অবশেষে হল পরিচয়, হল মন জয়-
দুজন দুজনা বাসিত ভাল ছিলনা সংশয়।
ছেলেটি পেত ভয়,যদি হারাতে হয়?
জানেনা সে, মেয়েটি কি ভাবে এমনি?
সে নয় শুধু তরুণী,সে এক মায়াবিনী।
তুমি কি আমায় ভাসবে ভাল সারাটি জীবন,
থাকবে কি পাশে সারাক্ষণ?
মেয়েটি বলে,
এ প্রশ্ন কি বারে বারে করতে হয়?
ভালবাসি তোমায় ভুলার জন্য নয়।
কথা শুনিয়া ছেলেটি করে নিল মনের মধ্যমণী।
সে নয় শুধু তরুণী,সে যে মায়াবিনী।


মেয়েটা থাকিত -কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট,
কবে যে আসিব সে করিত যে ধ্যান।
বাড়িতে সে যদি কখনো আসিত,
চাচাত বোনকে নিয়ে কতই আড্ডা দিত।
ছেলেটির সাথে বলিত কথা প্রতিটি রজনী,
সে নয় শুধু তরুণী,সে এক মায়াবিনী।


এভাবেই কেটে গেল মাত্র দুটি বছর,
কি যেন কি হল মেয়ের আসল্ নতুন ঝড়।
মেয়ে বলে,নিভিয়ে দিতে চাই প্রেমেরি আলো,
তোমায় আমি চাইনা ওগো,বাসিতে যে ভাল।
একি বলছ প্রিয়া,কি বলছ তুমি?
তোমায় কি পারব ভুলতে এ জীবনে আমি?
যখন ছিল আবেগ,ছিল ভালবাসার বেগ।
আমার ভালবাসার আকাশে জমেছে কাল মেঘ।
শুনে সে কথা, পেল যে ব্যাথা।
কাঁদিয়ে সে রাত করিল বৃথা।
আজও সে পায় ব্যাথা যখনি মনে পড়ে,
ভাবেনা কখনো মেয়েটি কি তাকে মনে করে?
হয়নি বলা নামটি তার, বলেছি যে খোকা-
আসলে নাম তার ছিল এক বোকা।
মানুষ তরে এখন নানান রকম ঢ়ং,
কি করে বুঝিবে ভালবাসার রং ।