মুক্তিমন্ত্র
অরুণ কারফা


চিঠিটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে মুক্তিমন্ত্রে
দিক্ষীত ছিল তাই,  
               শুরুর থেকে পড়ে তা অন্তে
               কেউ না পারে যাতে জানতে
যত্ন করে রেখে দিতে যাই।


তারপর, কী ভেবে আবার
ভাঁজে ভাঁজে সাজিয়ে ক'বার
                    নৌকা বানিয়ে শ্রাবণের দিনে
                   ভাসিয়ে দিলাম স্রোতের টানে
মায়া ত্যাগ করে তার;
     যাতে গোঁত্তা খেয়ে কোনোখানে
     পাল্টে গিয়ে কোন এক কোণে
নিজেকে সে করে দেয় উজার;
তারপর, তরলীত হয়ে সেই কাহিনী তরঙ্গের চূড়োয় ছড়িয়ে বাণী
                              লোকমুখে হয় প্রচার :
        রণে করলে প্রতারনা কেউ
        গর্জে ওঠে যেমন ঢেউ
তেমনই আবার ভরিয়ে ভালবাসায় তার
শপথ নিলে সঙ্গে লড়ার
মাঝপথে হলেও সে শহীদ
বাণীর তার চলবেই প্রচার।