সেই মেয়েটিই নয়নের মনি, থাকলেও তার আরো দুইখানি,
সেদিন পর্য্যন্ত কেই বা জানত, প্রশ্ন করলে কেনই প্রশান্ত,
কণ্ঠে শুধু বলত মোরে, আবেগ যে ভাবে,
কাজ কোনো সারে, সুমিষ্ট ভাষা কদাচিৎ ই পারে।


বড়টির হাত এমনই পাকা, দেখলে সুদৃশ্য ছবিগুলি আঁকা,
মনে হয় যেন, রঙের তুলি, আপন মনে দিয়েছে বুলি,
আর তাতেই উঠেছে ফুটে, কোথা থেকে এসে, সৌন্দর্য্য ছুটে।


আর ছোটটি, উঠলে মঞ্চে, দর্শকের মন ভরে রোমাঞ্চে,
প্রকাশ করে উচ্ছাসে সকল, বাঁধ ভেঙ্গে যেন বন্যা প্রবল,
ছুটেছে দিগবিদিগ জ্ঞান হারিয়ে, সম্মান ও আসে অর্থ নিয়ে।


কিন্তু যখন সঞ্চিত অবসাদে, মন ভরে যায় কিঞ্চিৎ বিষাদে,
এমনই কাজে ডুবে থাকে তারা, পাওয়া যায়না ডাকলেও সাড়া,
সেই মেয়েটির চোখ জলে ভাসে, এ সকল যেন হল তারি দোষে, ভাষায় করেনা প্রকাশ সে তারে,  মূক ও বধির কিনা একেবারে।