কে কয় নদী, একা একা বয়,
তারও আছে, নিজস্ব দুনিয়া,
শঙ্কিত হয়োনা, একথা জানিয়া,
অনুভূতি আছে, বলেই বোধ হয়,
ঋতু বিশেষেই, সব সময় নয়,
যায় সে সামান্য, বেশিই রাগিয়া।


তলে তলে সে নেয়, সঙ্গী খুঁজে, চলে বালিকণা,
সাথে মুখ বুজে, প্রয়োজন ফুরোলে, চোখের আড়ালে,
ছেড়ে দেয় তাকে, কোনো এক বাঁকে,
চলার পথে, কোনো এক ফাঁকে।


আর গাছপালা, ছোটো ঝোপঝাড়, চয়ন করে,
যাতে রূপ তার, দ্বিগুণ বেগে, যায় বাড়িয়া,
পাখিরা কুজনে, মুখরিত বনে,
একথা জানায়, নির্দ্বধায় মানিয়া।


যেটি রে মোরা, নদ বলে ডাকি,
সেই তো বেশি, করে হাঁকাহাঁকি,
মেঘের গর্জনে, আর বর্ষনে,
বন্যায় ভেসে, যায় জনে জনে,
পরে অবশ্য, ফেরায় সর্বস্ব,
ধানী জমিরে, সেচন করিয়া।


এবার বলি নদী যারে জানি, স্বভাবতঃই সে, হয় অভিমানী,
সময় থাকতে, দেয় হুঁশিয়ারি, ফাঁকা হয়ে যায়, যাতে দুই পারই, বিপন্মুক্তরা নত হইয়া, ধন্যবাদ জানায়, পারেতে আসিয়া।