হাত ছিলনা বটে,
লিখত কবিতা
ভাত ছিলনা পেটে,
তবুও দমেনে
দীপ্ত ক্ষমতা,
গর্জাত যেন বৈশাখীর ঝড়
হলেও বা তখন শৈত্য প্রখর।

ভোরের বেলায় হয়ত তখনও
ভাঙ্গেনে অনেকের কাঁচা স্বপনও
কলম ধরে পায়ের আঁচড়ে
ঘষে মেজে নিত রচনাটারে
জেগে উঠত ঘুমন্ত সবিতা।

প্রতিবন্ধকতার যন্ত্রণা, বুঝতে দিতনা
এমনই ছিল তীব্র চেতনা
পায়ের অঙ্গুলি টানত তুলি
রাঙ্গিয়ে দিয়ে বন ফুলগুলি।

মুখ থাকলেও ছিলনা মুখোরা,
বিত্ত ছাড়াই চিত্ত ছিল ভরা
স্বর্ণ মুদ্রা না থাকলেও ঘরে
হৃদয় ছিল সুধায় ভরে;
বোঝা যেত যখন কণ্ঠ ছেড়ে
উঠত গেয়ে জীবনের গান
সুদূর থেকে কোয়েলও ডেকে,
শ্রোতা হিসাবে দিত সম্মান।

এত সব নিয়েও প্রতিবন্ধকতা,
জিতত কি করে প্রতিযোগিতা
প্রশ্ন করলে, উথলে হেসে
জারিজুরিতে বলত শেষে,
প্রতিবন্ধকতার কথা, ফেলেছি পিছে,
এতদিনে তলিয়ে গেছে বহু নীচে,
সিঁড়ি দিয়ে যখন ওঠো সোপানে,
ফিরে কি তাকাও কেউ পিছনে ?