দৃষ্ট না হয় জলধি যতক্ষণ
নদী বয় ধীরে ধীরে ততক্ষণ
সমতলে জাগিয়ে প্রাণের আশা
বিলোতে থাকে সে প্রেম ভালবাসা
তারপর পেলে সাগরের দেখা
ভুলে যায় তার শাখা প্রশাখা
কি ভাবে তারে সমৃদ্ধিতে ভ’রে
নিয়ে গিয়েছিল সমুদ্রের তীরে।

এতো গেল নয় স্রোতস্বিনীর কথা
কি ভাবে ভুলব মায়ের বুকের ব্যথা,
কি ভাবে করব ব্যক্ত কেমনে
যার উপর দিয়ে যায় সেই তো জানে;
রক্ত সমানে বয় যখন উজানে
তাও নাকি মানব জাতির কল্যাণে
তারেও ভোগ্য পণ্য ভেবে মনে
হায়েনা উল্লাসে হাঁকে ক্ষণে ক্ষণে।

কেউ বলে গত জন্মের ফল
কেউ বলে বৎস এও এক ছল
মানুষের জন্ম দিয়ে ধরাতল
কেন যে তৈরি করল এত খল?
কেমনে কিছু সৎ লোকের দল
তেমনি আবার বুকে লয়ে বল
অন্যায়ের বিরূদ্ধে রয়ে গিয়ে অটল
পৌঁছতে পারে তাদের গন্তব্য-স্থল?

তাই প্রশ্নের বাণ করলে খান খান,
দেখতে ইচ্ছে হয় অভিধান,
ভুলে যাওয়া কি আশীর্বাদ না অভিশাপ
হৃদে জাগা উচিত হরষ না অনুতাপ?