অরণ্যের নীরবতার মাঝে সে তার
তারুণ্যের তোলে সেতারে ঝংকার
অবাক হয়ে লোকে প্রশ্ন করে তাকে
কোথায় তোলা থাকে এত,
প্রতিভা যাকে মানুষ দেখে সমক্ষে
তাকায় চোখে ঈর্ষান্বিত,
বয়স তো কম করে হয়ে গেছে প্রায় তার
অবশ্যই নব্বইয়ের ঘর পার।

যখন সে ছিল আশির ঘরেতে
মুখ না দেখে তখনও আরশিতে
নিজেকে ভাবত সর্বদা জোয়ান
সাহায্য করতে হত আগুয়ান
কখনোই ভাবত না অনাগত
ভবিষ্যতের ভাবনা আর,
কিছুতেই মনে করত না নিজেরে
বৃদ্ধ প্রতীক দুর্বলতার।

সত্তরের ঘরে সে ঈষিকার টানেতে
আকাশ কে এঁকেছিল মেঘের পূর্বেতে
দেখিয়েছিল যুবকদের ধরণীতে
কল্পনাকেও কি ভাবে ছাপিয়ে গিয়ে
স্বকীয়তার প্রভাবে সে,
বাস্তবকেও ভরিয়ে তোলে সজীবতায়
অদেখা মধুর স্বপ্নতে।

কি বা ষাট কি বা পঞ্চাশ অথবা চল্লিশ
তার কাছে ছিল কি বা তিরিশ কি বা বিশ
কিংবা দশেরই ন্যায় সমান,
সেগুলো তো ছিল সবই পরের তরে
তাতেই পেত শুধু বেঁচে থাকার মধু
আর এগিয়ে যাবার জোগান।