আমি এঁকেছিলাম একটা তড়িতাহত
তাল গাছের তৈলচিত্র
ভয়ঙ্কর তার সেই রূপ কদাকার
তবুও করত বিমোহিত।

কোন এককালে রানি ছিল রূপসী জানি
উচ্চতায় জানান দিত
তারপর এক বিকালে মেঘের আড়ালে
ঈশান কোণে লুক্কায়িত
বীর দর্পে ঘুরিয়ে মেঘ চক্রাকারে  
যেন বোঝাতে সে নয় মৃত
কাল বৈশাখীর ঝড় পাতার সম্ভার
করেই দিল ভস্মীভূত।

আসলে তা ছিল আমারই উচ্চাকাঙ্ক্ষার
এক নামান্তর মাত্র
তারও আগে ছিলাম বাবলা গাছ হয়ে বেঁচে
সবখানে যত্র তত্র
উপকার না করে অপকার করতাম যেচে
চিত্তে যে ছিলনা শান্তি
তাই সবার গায়ে কাঁটা বিঁধিয়ে ভাবতাম দিয়ে
হোকনা এদের অবনতি।

আমি আজ মাঠে মাঝ দাঁড়িয়ে একা কেউ নেই সখা
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা না দিলেও মনে ব্যথা
মনের কোণে গহন গভীরে বহন করি বারতা
মাঝারি থাকাই ভাল না বাড়িয়ে উচ্চতা।