চিত্রখানি মিত্রটি এমনই
এঁকেছিল তা আমরা সবাই জানি
সকলেই পারতনা যা এই দেশেতে;
শিমূল আর পলাশে ভরিয়ে ফাগুণ
আলেয়ায় যেন জ্বালিয়ে ছিল আগুন
জল ভরা মরীচিকাও ছিল মরুতে।

ইচ্ছে ছিল তার আসলে বোঝাতে
সমাজ সচেতনতা হবে বাড়াতে
নিরুত্তাপ অলীক প্রতিবাদের এ রূপ
শোষক শ্রেণীকে পারবেনা টলাতে
পারবেনা তাদের চিত্ত গলাতে
তাই তো তারা কেমন ঘুমন্ত নিশ্চুপ।

শাসনতন্ত্র জানতে পেরে তা
বলল বদলাও পুরো ছবিটা
এঁকে দাও আকাশেতে আঁকাবাঁকা রামধনু
যাতে আকর্ষিত হয়ে জনগণ
ক্ষুধার্ত পেটেও করবেনা রণ
না থাকলেও রঙের একটাও তাতে অনু।

ভাবার্থঃ
প্রথম দুই স্তবকে আমি বলতে চেয়েছি
ঠাণ্ডা আগুন
পারবেনা বিপ্লব ঘটাতে;
আর অলীক জল দিয়েও
কেউ পারবেনা শোষকের মন গলাতে।
আর তৃতীয় স্তবকে
দেখিয়েছি কিভাবে বুদ্ধিজীবিদের দিয়ে
কাল্পনিকে চিত্র আঁকিয়ে
জনগণের মনকে অন্য দিকে দেয় ঘুরিয়ে।