যমদূত
অরুণ কারফা


বিবেককে একটা বাড়তি বোঝা মনে হচ্ছিল
তাই,
একটা ভাঙ্গা নৌকোয় তাকে চড়িয়ে
খরস্রোতে ভাসিয়ে দিয়ে
      ফিরে এসে দিনের শেষে নিশ্চিন্তে আজ বালিশে
      মাথা গুঁজলেই কেমন নিমেষে
নাক ডেকে ডেকে ঘুমাই।


হ্যাঁ, পূর্ণিমার চেয়ে অমানিশা লাগে অনেক বেশি ভালো,
তার স্বপক্ষে যুক্তিও সাজাই জোরালো।


খালি পেটে হাত বুলিয়ে দুধেল জ্যোৎস্নায় জাগার চেয়ে
অমাবশ্যার তমায় ঘুম হয় আরো বেশি গাঢ়।


আর বুঝতে পারি এও , সেই জন্যই বোধহয় ফাঁসির মঞ্চে আসামীর গলায়
ফাঁস পড়িয়ে দেওয়ার আগে
মুখোশ পড়ানো হয় তাকে,
যাতে, মৃত্যু হওয়ার আগে পর্যন্ত সে
দেখতে না পায় সাজানো তমসে
যমদূত নয়, শোষণ যন্ত্রই প্রাণ নিল তারও।