শরতের মেঘ
অরুণ কারফা



একটুখানি জিরিয়ে নিতে
মেঘের কায়া ছড়িয়ে ছায়া
হাত পা মেলে বসতে চেয়েছিল গাছের নিচে একাকীত্বে।
কিন্তু, কী ছিল তার জন্মদাতার অন্তরে জমে একটুও তার
              পায়নি আভাস, পারেওনি বুঝতে ।


প্রথমে কিছুক্ষণ হাওয়ার গতি হলেও মন্দ
ধীরে ধীরে তা শনশন হল বদলে ছন্দ।
আর একটু পরেই বৃষ্টি এলো কোত্থেকে ধেয়ে...
প্রথমে গুঁড়ি গুঁড়ি ,
আর তারপর, রিমঝিম থেকে বেড়ে ঝমঝম যেন ফুলঝুরি।


সেই জলে হাবুডুবু খেয়ে ছায়ার অবস্থা যখন করুণ
এগিয়ে এলো জন্মদাতা আবার অরুণ,
ঝকঝকে সোনালী রোদ্দুর নিয়ে আগমনীর বার্তা দিয়ে,
আস সেই সুরে জগৎ জুড়ে অন্তরও হল অন্তঃপুরে
গমগম আর অতি মনোরম
কাছে ও দূরে।