শোনেছি সেখানে একটি অপূর্ব নদী আছে। আর রুপাগলা ঝর্ণার মতো বেয়ে আসে বাল্যকাল। জলকেলি শেষে চাঁদিও তুলতুলে পরশ শুষে নেয় দেহের জলকণা। এখানে অফুরন্ত সময়। চারদিকে জুলেখিও বাসনার আকুতি এবং  রক্তবিহীন লেবুর আগরিও খুশবু। দুধসাদা প্রজাপতির ডানায় বাঁধাহীন উড়া-উড়ি সাত-আঙিনায়।


এখানে কোনো বিদ্যুৎ নেই। সবদিকে কেবল নিজস্ব আলো। ইচ্ছে হলেই মোমের হলদে আলোয় বসতে পারি মুখামুখি। ইচ্ছে হলেই নামবে দুধবৃস্টি। বেজে ওঠবে ভায়োলিনের নাঙা সুর।


আমি জন্ম থেকেই,কান পেতে বসে আছি মাটির পাটাতনে। কেউ খোলে দাও পাটাতনের পেরেক। এই অরণ্য ছেড়ে ছুটে যাই— ভায়োলিনের সেই সুরের খোঁজে।