আরেহ্ স্যার আপনি জানতেন না
আমি ও আমরা যে বিকারগ্রস্ত!?
হ্যা-আসলেই আমরা মানসিক বিকারগ্রস্ত।


আমরা যারা একটা বছরেরও বেশি সময়
বৃদ্ধ বাবার ঘাড়ে বসে খাচ্ছি তারা আমরা সবাই মানসিক বিকারগ্রস্ত।
আমাদের যাদের বৃদ্ধ মাতা-পিতা
নিজেরা না খেয়ে না পরে আমাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিল,
তারা আমরা সবাই মানসিক বিকারগ্রস্ত।
আমাদের মাতা পিতা যারা একা শুয়ে শুয়ে হিসাব কষতো
ছেলের উচ্চশিক্ষা শেষ হওয়ার আর কতদেরি,
কবে ছেলেটা তাড়াতাড়ি পড়ালেখা শেষ করে
বৃদ্ধ বাবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছোট্ট সংসারের হাল ধরবে!
সে দুঃখী মাতা-পিতা সহ আমরা সকলেই মানসিক বিকারগ্রস্ত।


আমরা যারা ঘরে এক বেলা না খেলে
ছোট্ট ভাইবোনগুলো খানিকটা পেট ভরে তিন বেলা খেতে পায়
তারা সবাই বিকারগ্রস্ত,
মানসিক বিকারগ্রস্ত।


আমরা যারা দিনক্ষণ গুণতেছিলাম,
কবে গিয়ে বাবাকে বলবো অনেক হয়েছে বাবা
এবার তুমি বিশ্রাম করো তোমার দায়িত্বটা আমার হাতে দাও।
আমরা যারা ঈদে মাতা-পিতাসহ
পরিবারের সকলের জন্য
কিছু ভালোবাসা কিনে নিয়ে যেতাম
তারা সকলেই মানসিক বিকারগ্রস্ত।


আপনার কি কোনো ধারনা আছে
আপনার কতগুলো শিক্ষার্থী এতগুলো দিন বাড়িতে থেকে
নিজেকে পরিবারের বোঝা মনে করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, হতাশায় নিমজ্জিত ?
আপনি কি চোখে কালো কাপড় বেঁধে রেখেছেন?
আপনার নিয়ন্ত্রিত টিএসসিতে প্রতিদিন কত মানুষের ঢল নামে
তার কি কোনো হিসাব রাখেন?
আপনার নিয়ন্ত্রিত সেই টিএসসিতে ভালোবাসা দিবসে,
একুশে ফেব্রুয়ারীতে তিল পরিমান জায়গা থাকে না যে
তা কি আপনি চোখে দেখেন না?
আপনি দেখবেন কি করে আপনার বিবেকের চোখতো বন্ধ,
আপনিতো  বস্তুত অর্থে অন্ধ তার থেকেও বড় আপনি খুনি, স্বপ্নের খুনি।


আপনি উড়ন্ত স্বপ্ন ধূলিসাৎ করা রণতরী
আপনি সংগ্রামী মাতা-পিতার নীল আকাশের বুকে
উড়ে বেড়ানো,
স্বপ্ন নামের পাখি কে গুলি করে হত্যা করা খুনি।