(দাশু পাগলার সাথে আপনাদের পরিচয় আগেই হয়েছে।ওর আসতে দেরি কেন হলো কবিতা পড়লেই বুঝে যাবেন।)
  ক্ষীণকায় খর্বকায় তাতে এক মুন্ডু,
           মনে হয় চিংড়ি মাছ কথা বলে কিন্তু।
বোকা নয় সোকা হয়, আছে ফন্দি নানা,
            হিংসুটে বেজায়,যায় না তার নোট দেখা,
জগা চাইলো ইংলিশ বুক,দাশু বললো না না,
           নালিশ পেয়ে পণ্ডিত, দাশু                  
                              কে দিলো ভিষণ বকা।
বকা খেয়ে দাশু চুপ তিন চার দিন,
           জগার বই নিয়ে পণ্ডিত পড়ান প্রতিদিন।
এক দিন চাইলেন উপক্রমনিকা কই?
            আনন্দে জগা দিলো নিজের বই,
পড়া শুরু,হটাৎ্ পণ্ডিত গেলো থমকে,
            বইখানা কার পণ্ডিত শুধায় ধমকে?
জগা বলে "আমার কেন কি দোষ?"
             রেগে বলেন "হারিয়েছো কি হোশ?
খুনী কে ক্রাইম হলো কি উপক্রমনিকা
             দেশের ১২টা বাজার নিয়েছো কি ঠিকা?"
দাশু খুশি খুব বেশি দেখে জগার দুখ,
        এমনি সব ফন্দি ফিকির করে দাশু পায় দারুণ সুখ।
আমসত্ব শুকায় ছাদে দাশু আসে ঘুরে
             চেহারা দেখে কাক সব যায় উড়ে।
ঢোলা ঢালা প্যাণ্ট কোট পরে ক্লাসে আসে
            কেন রে?ইংলিশ বলবো দেখবে লোক আসে পাশে।
এক দিন ইসকুলে সে এলো নিয়ে এক বাক্স
            "দিও না হাত কেউ এটা আমার রহস্য"
তালা চাবি দিলো সে হয়ে সর্তক,
           আছে কি তাই নিয়ে হলো অনেক তর্ক,
টিফিন আছে,নাকি মানিব্যাগ,নাকি আচার
            অনেক হলো চিন্তা বিচার।
একদিন দাশু সহসা চাবি দিলো আমায়
           "দেখো কেউ যেন না আবার হাতড়ায়
আমি আসছি একটু পরেই টিফিন করে"
            খুলি আমরা বাক্স ধৈয্য আর না ধরে,
বাক্সের ভিতর বাক্স, তার ভেতরে কাগজ,
            লেখা তাতে "কাঁচকলা খেও ভোজ,"
হা হা হি হি হাসি শুনে দেখি চমকে
            দাশু হাসে গমকে গমকে,
"কেমন হলো সবাই APRIL FOOL
আর কোর না এমন তরো ভুল।"