আমি চিরন্তন দাস,
পেয়েছি মুক্তি এই কিছু দিন আগে
যখন নিলাম অন্তিম শ্বাস।
ছিলাম আমি নিত্য যাত্রি
যাকে আপনারা বলেন Daily Passenger,
দেখিনি কখোনো কেমনে হয় দিন,রাত্রি,
টেনে গেছি হাল,সঙ্গে সব স্ংসার।
আমার ছিলো জীবনের লক্ষ্য দুটো,
১)০৮-৩৫শের লোকাল,
২)পরিবার যেন ভাত পায় দুবেলা দুটো,
ঠাকুর কে তাই রোজ বোলতাম সকাল সকাল।
ট্রেনে ছিলো তাস,আর ছিলো কাগজ
হারুদা প্রায়ই করতো ট্রাম্প,
আড্ডায়,চায়ে,ধোঁয়ায় ভরে যেত মগজ
প্লাটফরমে ঢুকতেই ট্রেন করতাম জাম্প।
পুরাণো বিল্ডিং,নড়বড়ে দেওয়াল
ভিতরে অফিস,মালিক শেঠ আগড়ওয়াল,
মা্ঝে মাঝেই দিতেন গাল
আমরা সব নাকি ভুষিমাল।
হঠাৎ পড়লো মনে,কলেজের ফিস দেবার দিন গেছে চলে,
চাঁপার মা বার বার দিয়েছে বলে।
হাত জোড় করে বললাম শেঠ ২০০ টাকা advance দিন
ভুলবোনা কখনো আপনার ঋণ।
ভুলিনি কাউকে,মুদির দোকানের জগাকে
যেখানে চলতো মাস কাবারি,
কি করে মুখ দেখাই তাকে
চাল,ডাল নেওয়া ছিলো দরকারি।
নিলাম ধার কয়েক হাজার
প্রাণ খুলে করলাম বাজার,
রবিবার হলো দারুণ ভোজ।
সোমবার ০৮-৩৫শের লোকাল যথারীতি
শুধু নামার সময় হলো ভীমরতি,
পড়লাম সোজা চাকার তলে
আঃ কি আরাম মলে।