আমাদের সমাজের জঘন্যতম বৃত্তি
বেশ্যাবৃত্তি
এই পেশায় মেয়েরা আসে
মূলতঃ পাঁচটি রাজ্য থেকে
পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, বিহার ও ইউপি
পড়োশী দেশ …
নেপাল, বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই ।
মেয়েরা এই পেশায় এসে যায়
তের-চৌদ্দ বছর বয়সেই
গরীব পরিবার থেকে
উঠে আসে ঐসব মেয়েরা
কেউ বাপ হারা, কেউ মা হারা
কেউ বা দুই-ই
পরিবারে ছয়-সাত জন পোষ্য
অভাব নিত্যসঙ্গী ।
অভাবই ওদের তাড়া করে
খেদিয়ে ফাঁদে ফেলে
বিক্রী হতে হতে হাজির হয়
শহরের কোন পতিতালয়ে ।
ওরা কাঁচামাল
ওদের শুরুর খদ্দের মালিক  ও ম্যানেজার
দুয়ে মিলে এক বছরের মধ্যেই
ওদের মা বানিয়ে দেয়
তারপর বাচ্চাকে করে বন্ধক  
শুরু হয় মায়ের শরীর বেচা
প্রতিদিন বারবার
নইলে বাচ্চার উপর চলে নির্যাতন ।
রোজ পাঁচ থেকে দশ জন খদ্দেরকে
তুষ্ট করে ওরা
মালিককে কামিয়ে দেয়
বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা
পরিবর্ত্তে পায় অসাস্থ্যকর পরিবেশ
পেটভরা খাবার
সামান্য কিছু টাকা
লাঞ্ছনা, যন্ত্রনা, আর নির্মম অত্যাচার ।


একটা রেপ-এর প্রতিবাদে
লক্ষ লোক একত্রিত হতে পারে
কিন্তু যারা লক্ষবার রেপ হয়
তাদের কথা একজনও কি ভাবে ?