লোকে বলে ‘তোর মা হোটেলে যায়,
বিধর্মী পুরুযের সাথে রাত্রি বাস করে’
লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে আসে,
আমি মেয়ে …
মায়ের নিন্দা শুনি কিভাবে ?
স্বামীরও একই কথা
তোমার মা নষ্টা,
ঠাকুমা বলে,
‘বৌমা বেয়ান-বাড়ী যায়
দু-তিন দিন করে থেকে আসে’,
আমি বলি কিভাবে ?
মা তো দুবছরে একবারও আসেনি ।


তবে কি বাবা মদ খায় মায়েরই কারনে ?
আমি শিক্ষক-ঘরনী, সাহিত্যের ছাত্রী,
ফলাও করে বড়াই করি হিন্দু সংস্কৃতির
অথচ আমার বাবা মাতাল
মা ব্যাভিচারিনী ।
হায়রে অদৃষ্ট.........
ঘেন্না …
ঘেন্না আমার সমস্ত শরীরকে অবশ করে,
লজ্জা ঘুন পোকার মতো
কুঁড়ে কুঁড়ে খায় আমার অন্তর আত্মাকে ।


মনে হয় ডুকরে ডুকরে কাঁদি......
মাথা কুটি দেয়ালের গায়ে
খঞ্জর বিধিয়ে দি-ই বুকে,
লহমায় শেষ করে ফেলি
আমার অতীত-বর্তমান্-ভবিষ্যত
কিনতু পারি না ...
সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে ।
মাগো, আমিও তো তোমার সন্তান্.......
ছিঃ … আমার ভাবতেও লজ্জা লাগে,
মায়ের চরিত্র যদি এমনই কলুষিত হয়,
কে সম্মান জানাবে মা-জাতিকে ?
মায়ের গায়ে থুতু দেবে লোকে ।