বেলা তখন প্রায় এগারোটা
দু-তিন জন সাঁওতালকে ছুটে আসতে দেখলাম
আগে আগে একটা বিশাল লম্বা সাপ
পিছনে পিছনে কয়েকটা সাঁওতাল
আমরা ঠাকুরের বাগানে খেলছিলাম
দেখলাম সাপটা পাশেই পচা পুকুরের ধারে
তেঁতুল গাছের গোড়ায় একটা গর্ত্তে
প্রাণের ভয়ে ঢুকে যাচ্ছে
প্রায় অর্ধেক ঢুকে গেছে... এমন সময়
একটা সাঁওতাল তীর বেগে ধেয়ে এলো
খপ করে ধরে ফেলল ওর লেজটা
এক ঝটকায় টেনে বার করল সাপটাকে
তারপর বনবন করে শুরু করল ঘোরাতে
আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখছি
প্রায় মিনিট পাঁচেক ঘুরিয়ে
সাঁওতালটা মাটিতে ফেলে দিল সাপটাকে
জয় বলে উঠল "ওরে, ব্যাঁতাঝাড়...
এরা গরুর পায়ে ছাঁদ দিয়ে দুধ খায়"
ঘূর্ণি লেগে সাপটা বেতাল হয়ে গেল
ছিঙেপানা একটা সাঁওতাল
মোটা লাঠির ডগা দিয়ে
মূহুর্ত্তে চেপে ধরল সাপের মাথাটাকে
ওর বিশাল শরীরটা ছটফট করতে থাকল
তৃতীয় জন ধারালো ছুরি দিয়ে চিরে দিল
ওর মাথার কাছটা
তারপর চামড়াটা টেনে ফড়ফড় করে
ছাড়িয়ে নিল এক পলকে
চামড়াটা নিয়ে ওরা চলে গেল
রক্তে মাখামাখি ছাল ছাড়ানো সাপটা
পড়ে রইল সেখানেই
ধড়ফড় করল তিন-চার ঘন্টা
তারপর মরে গেল
সেই প্রথম কারোর মৃত্যুযন্ত্রনাকে
খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করেছিলাম।


তারপর বহুদিন... সাঁওতাল দেখলেই
তাকে ঢিল ছুঁড়ে মারতাম।