শিশুরা ভূতের গল্প শুনতে শুনতে
ভূতকে ভয় করতে শুরু করে
পরীর  গল্প শুনতে শুনতে
পরীদের ভালবাসতে শুরু করে
ঈশ্বরের কথা শুনতে শুনতে
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী হয়ে উঠে।


বড়রা তাদের শেখায়, ঈশ্বরের বাস দূর আকাশে
সেখান থেকে তিনি সকলকে দেখতে পান
তার কাছে একটা মোটা খাতা আছে
তাতে সবার পাপ পূণ্যের হিসাব লিখেন
ভাল কাজ করলে পূণ্য হয়, ব্যক্তি স্বর্গে যায়
আর খারাপ কাজ করলে নরক প্রাপ্তি।


ভূত, ভগবান আর পরী...  এই তিন চারাগাছকে
বড়রা শিশুমনে সযত্নে রোপণ করে
তাদের লালনে ঐ চারাগাছ মহীরুহ হয়ে উঠে।
পরে শিশুরা  জানতে পারে আকাশ  মহাশূন্য
তবু তারা পাপ পুণ্যের গোলকধাঁধা থেকে
কোনদিন আর বেড়িয়ে আসতে পারে না।


প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই রকমই হয়ে  আসছে
কে জানে এর মুক্তি কোথায়...  কতদিনে !