এক শকুনীর বাচ্চা তার মাকে বলল...
মা, আমি মানুষের মাংস খাব। এনে দাও!


পরদিন শকুনী গরুর মাংস এনে বাচ্চাকে দিল
বাচ্চাটা একটু খেয়েই বলল না... না... মা
এটা মানুষের মাংস না, গরুর মাংস
আমার মানুষের মাংস চাই, এনে দাও!


পরদিন শকুনী শুয়োরের মাংস নিয়ে এলো
বাচ্চাকে দিয়ে বলল, খেয়ে নাও
বাচ্চাটা একটু খেয়েই বলল... না...না.... মা
এটা মানুষের মাংস না, শুয়োরের মাংস
আমার মানুষের মাংস চাই, এনে দাও!


শকুনী গরুর মাংসের টুকরোটা একটা মন্দিরে
আর শুয়োরের মাংসের টুকরোটা মসজিদে
চুপি চুপি ফেলে দিয়ে এল।


পরদিন শকুনী মানুষের মাংস নিয়ে এলো
বাচ্চাকে দিয়ে বলল, এই নাও... খাও!
বাচ্চাটা খেয়ে আনন্দে নাচতে নাচতে বলল
কি সুস্বাদু.... কি দারুণ খেতে মা!


একটু থেমে আবার বলল....
কিন্তু এত মানুষের মাংস তুমি কোথায় পেলে?


এতো খুব সহজ কাজ.....
একখন্ড গরুর মাংস কোন একটা মন্দিরে
আর একখন্ড শুয়োরের মাংস কোন একটা মসজিদে
রাতের অন্ধকারে চুপিচুপি ফেলে দাও।


পরদিন সকালে দেখতে পাবে
রাজপথে পড়ে আছে রাশি রাশি মানুষের শব।
শিশু, যুবক, বৃদ্ধ, মহিলা...  কত রকমের।