মুগ্ধ হয়ে দেখি সোনা রঙা গোধুলি আর রক্তিম সূর্য
রোদে পোড়া চোখে দেখি নীড়ে ফেরা বলাকার মালা
ঘরে ফেরে রাখাল, থেমে যায় আলো-ছায়ার খেলা
দিন শুয়ে পড়ে রাতের উত্তাল বুকে, ভাঙে কৌমার্য।


শুকতারা জেগে ওঠে, জেগে ওঠে স্বপ্নালু মন
রাতের আধার জন্ম দেয় সহস্র স্বপ্নবাজ মানুষ
কালো আত্মা জ্বেলে দেয় আগুন। মানুষ ঘুমে বেহুশ
জেগে থাকে আত্মা, জেগে থাকে স্বপ্না্লু মন।


আগুনে মানুষ পোড়েনা; পোড়ে স্বপ্ন, পোড়ে ভাষা
মৃত্যু ঘুমে বেহুশ সব, শুধু জেগে থাকে স্বপ্নালু মন
জেগে থাকে স্বপ্নবাজ মানুষ, গুনে ক্ষণ প্রতিক্ষণ
পুড়ছে স্বপ্ন, পুড়ছে ভাষা- তুষের আগুন সর্বনাশা।


স্বপ্নবাজ, স্বপ্নবাজ আর স্বপ্নবাজ মিলে মিছিল
ফেস্টুনের বুকে জ্বলে প্রতিবাদের আক্ষরিক আগুন
দিনে- দিনে দিন গড়িয়ে এলো আটই ফাল্গুন
কালো পিচের রাস্তায় এলো প্রতিবাদের মিছিল।


বুলেট! বুলেট! বুলেট! সাঁয়.. সাঁয়.. শুধু বুলেট
সব থমথমে, বাতাসে বারুদের ঝাঝালো গন্ধ
পরে থাকে প্রতিবাদী- স্বপ্নবাজ; নিঃশ্বাস বন্ধ
রক্তের জোয়ারে মুক্ত হলো বর্ণমালার শ্লেট।