কেউ বলছে রাতে ভোট
কেউ বলছে দিনে,
কেউ বলছে আগেই নাকি
ভোট নিয়েছে কিনে।


              কেউ বলছে অমুকের ভোট
              তমুকে গেছে দিয়ে,
              পাড়ার হোটেল উত্তপ্ত হয়
              এসব আলাপ নিয়ে।


আলোচনা মাঝে মাঝে
হয় সমালোচনা,
পাড়ার হোটেলে চলে শুধু
এসব আনাগোনা।


               ছলিমুদ্দির উপদেশ
               কলিমুদ্দির পরামর্শ,
               দিনশেষে বেধে যাচ্ছে
               বড় এক সংঘর্ষ।


গতবছর মরেছে যারা
দিছি যাদের কবর,
তারাও নাকি ভোট দিছে
শুনছি এমন খবর!


                সচিনের ব্যাটা বিদেশ থাকে
                ফিরতে বছর দশ,
                তার ভোট টাও নিছে নাকি
                সাজুর আনারস।


হুজুর, আলেম, ইমানদারগণ
ইসলামিক জোট,
টাকার বদল তারাও নাকি
নৌকায় দিছে ভোট।


                হাতপাখাতে ভোট দেয় নাই
                বড়োই স্বার্থপর,
                সেই চিন্তাতেই বাবলুর ব্যাটার
                ১০০ ডিগ্রি জ্বর।


জরিনা পাগলীর সবাই নিজের
সবাই আপনজন,
সব মার্কাতে সিল মেরেছে
রাখছে সবার মন।


                 খগেন বলছে সবুজ ভাইয়ের
                 টাকার অনেক জোর,
                 নরেশ বলছে শোনো বাহে,
                ওই ব্যাটা তো চোর।


ভেদু চাচা রনির কানে
করছে ফিসফিস,
জিনিসপাতির দাম কমাতে
দরকার ধানের শীষ।


               কাশতে কাশতে বললো তখন
    .          পশ্চিমপাড়ার ছামাদ,
               বেহেশতো খানা পেতে চাইলে
.              সাপোর্ট করো জামাত।


বারী চাচার চুল পেকেছে
পাকছে সকল দাড়ি,
এরশাদ সরকার তাকে একখান
করে দিছে বাড়ী।


                সেই কারণেই বারী চাচার
                যত গুণগান,
                এরশাদ মোর জীবন বাহে
                এরশাদ মোর জান।


বললো এক পাতি নেতা
আবুল হোসেন বারী,
এরশাদের সময় হয়েছে শুধু
নারী কেলেংকারী।


               শুনে চাচার মেজাজ খারাপ
               কাঁপছে হাত দুখানি,
               তোর সরকার যে ভোট চোর
               সেটাও আমি জানি।


এই তো শুরু কথার খেলা
উঠবে বুঝি হাত,
সবাই চিল্লায় থামো থামো
এসব আলাপ বাদ।


                নরেশ বললো আমি একখান
                কথা কইবার চাই,
                রাজনীতিতে এই যুগেতে
                ভালো মানুষ নাই।


পাড়ার হোটেল মিনি সংসদ
যত দেন-দরবারী,
গ্রাম থেকে শুরু করে
বিশ্ব খবরদারি।