চৈত্রের দুপুর মন চঞ্চল তেঁতুল চুরিতে
মন্টুর মায়ের একগলা এ্যাপারির বাঁশি
ময়না মায়ের কলাগাছ ভাঙ্গনের বিচার!
আজও অম্লান করে বিশুর মায়ের
হাতের চা; ভোরের উষ্ণতা শুধু খুঁজি
সবুজ ঘিরা আইল পাথারের মাঠ ;
মন্টুর মা এখন নিখোজ তার সাথে
ওমছের মাও- রোদদুপুরে কলার থোড়
পোড়া কাপড় ধোয়া জল স্মৃতিময়!
আজও অম্লান করে বড় বাড়ির
দুলা মায়ের এক হালি আম হাসি;
শহীদের মায়ের কাঁঠাল পাকা ওয়া
মিনুর মায়ের বরই পারা ঝড়ের শব্দ!
শহীদের মাও, মিনুর মাও কখন
চলে গেছে না ফেরা তারার দেশে;
মাঝে মাঝে অচমকায় গাল খেতাম
দেয়াল লেখায় !অপষ্ট রয়ে গেলো
স্নিগ্ধ ভোরে মুড়িমাখা ময়া
ভুলে গেছে দুর্বঘাসের ছোঁয়া;
ভীষণ ইচ্ছে হয় ‍টুনটুনিকে গান শুনাবার
সব হেরে গেছে চৈত্র পোড়া দুপুরে।


২৩ ভাদ্র ১৪২৯, ০৭ সেপ্টেম্বর ’২২