তোরা ছিলে দুষ্টের হাড্ডি তবুও খেলার সাথী
দুষ্টামির ছলে শয়তানি কলে মারতি লাথি।
পকেট থেকে করতি টাকা ও কলম চুরি
ধান্দামির জন্য আটকে দিতি হাতের ঘড়ি।

তোদের সাথে কেউ পারতো না যে একা
জুলুম করে নিয়ে যাইতি পকেটের সব টাকা।
খাইতি বাদাম, আইসক্রিম আরও শসা-খিরা,
ওসবের খোসা দিয়ে গায়ে ঢিল মারতি তোরা।


সময়ে অসময়ে তোরা দলবেঁধে সবাই চলতি
কারণে-অকারণে একে-অন্যকে চড়-থাপ্পড় মারতি।
কানামাছি, কুতকুত, হাডুডু, কাবাডি, দাড়িয়া বান্দা,
বৃষ্টিতে ফুটবল, বিকালে মার্বেল খেলতে খেলতে সন্ধ্যা।


জরিনা, সখিনার মতো সুন্দরী মেয়ে দেখলেই বলতি ----
আই লাভ ইউ সুমা, ভালোবাসি তোমায়।
তোদের হাত থেকে রক্ষা পায় নাই স্কুলের দেয়াল ও জামা,
সেখানেও লিখে রাখতি আই লাভ ইউ সীমা,
ভুলনা আমায়।


নারকেল, ডাব, আম, জাম, পেঁপে, পেয়ারা, লিচু,
তোরা চুরি করতি ফল নামে আছে যত কিছু।
স্কুল ফাঁকি দিয়ে, বই-খাতা দোকানে রেখে কত না ছলে
তোরা সংঘবদ্ধভাবে চলে যেতি সিনেমার হলে।


তোরা নাকি এখন সবাই খুব ভদ্র হয়ে গেছিস?
সমাজ সেবক? আশ্চর্য! আমি তো অবাক!
অথচ তোদের মাথার উপর ঘোরার কথা ছিল দাঁড়কাক!


জানিস?এই দুষ্টুমিগুলো এখন করে কারা?
ক্রিকেটের মাঠে গিয়ে দেখ ফুটফুটে সন্তানেরা।
তারা দেখি মেতে আছে অত্যাধুনিক মেলায়
মোবাইলে গেইম আর বিষাক্ত পাবজি খেলায়।

তোদের সাথে নেই আর যোগাযোগ আগের মতন
দেখা-সাক্ষাৎ নেই, নেই কোনো কথোপকথন।
মাঝে মাঝে -ফেসবুকে সামান্য লাইক ও কমেন্ট,
মেসেঞ্জারে নক করে ঈদের আড্ডায় হালকা পেমেন্ট।


তোদের সাথে পাল্লা দিয়ে সাইকেল চালাইতাম ঘন্টার পর ঘন্টা
তখন অনেক ফুরফুরে থাকতো এই অবুঝ মনটা,
বন্ধুরা তোদের অনেক মিস করি অ নে ক মিস
প্লিজ! সময় পাইলে অন্তত একটু হাই হ্যালো দিস।


কল্পনায় যখন দেখি বাল্য বন্ধুদের সেইসব দৃশ্য,
তখনই নিজেকে মনে হয় আমি খুব,খুবই নিঃস্ব।
ঈদ... পর্বে যখন বাল্য বন্ধুদের মুখগুলো দেখি
তখন কেবলই মনে হয় আমি খুউব..খুবই সুখী।