কাজী আলম ভূঞাঁ।


মাগো
নানা-নানুর গল্পে আমায়
কত কিচ্ছে শোনাইতা
হাত পাখার বাতাসে আমায়
ঘুম পাড়িয়ে দিতা।


মাগো
কই মাছের ভাজি আর
শিং মাগুরের ভুনা
দেশি মোরগ জবাই করতা
পেট রাখতা-না উনা।


মাগো
ছুটি গিয়ে ডাকতাম তোমায়
সজাগ আছো মায়া?
আমার পুত আইছ? কইতা তুমি,
মিষ্টি হাসি দিয়া।


মাগো
আমার পুতের ছুটি শেষ
এই কথাটি বলে
গভীর ধ্যানে দোয়া করিতে
চোখ ভাসাইতে জ্বলে।


মাগো
ছুটি শেষে দিতে বিদায়
গাছের নীচে বসে
চোখের পানি মুছতে তুমি
আঁচল দিয়ে ঘেঁষে।


মাগো
কি অভিমানে চলে গেলে
আমায় একা ফেলে
কোথায় গেলে পাব মাগো
দাওনা একটু বলে।


মাগো
বাড়িতে গিয়ে দেখি আমি
ঘর আমার ফাঁকা
রাত জেগে কেঁদেছি আমি
ঘরে ছিলাম একা।


মাগো
তোমার কাছে ছিলাম আমি
সাত রাজার ধন,
অমূল্য সম্পদ হাড়িয়ে এখন
নি:স্ব আমার মন।


মাগো
আঁচল পেতে চাইতে দোয়া
আদরের আবুর জন্য
সেই সন্তান রেখে তুমি
চলে গেছো কেন?


মাগো
এই পৃথিবীতে তোমার মতো
নেইতো কেউ আপন,
স্বার্থ ছাড়া কেউতো আমায়
করে না আর যতন।


মাগো
তোমার পদতলে আছে আমার
জান্নাতের বাগান
সেই বাগানে যেতে আমি
দিব আমার প্রাণ।


মাগো
পাসপোর্ট আমায় দিয়ে গেছো
ভিসা পাঠাও তুমি,
তোমার জান্নাতের বাগানের
মালি হবো আমি।