আগে তো তোমার মায়ার ঘোর কাটতে দাও "মায়ালু"
তারপর নাহয় তোমায় নিয়ে লিখবো'খন ।


জোস্নার সম্মোহনে জমাট মাংসপিন্ড
মেঘের গায়ে চাঁদ গলে গলে পদ্মপাতায়
রাজ্যের মায়া নিয়ে নেমে এসেছে বেভুল
তুমি রুপোর ছোঁয়ায় আনমনা সব মায়া ।


রাজ্যের উষ্ক-খুষ্ক সুখ গুলো
তোমার চোখে আর্তনাদ করে মুক্তির প্রার্থনায়,
চুলগুলো বেসামাল বিরক্তি নিয়ে
আড়াল করে রাখে অভ্যন্তরিন বিদ্রোহ
আর ভেতরের ব্যথা গুলোকে
নিমেষে লীন করে রাখো
আধখানা চাঁদের কোয়ার মতো তোমার ঐ ঠোঁটে
স্বর্গের ফুলঝুরি ; চেরি ফুলের পাপড়ির প্রস্রবণ
দেখি আমি তোমার হাসির সন্ধ্যা প্রদীপে ।


গোঁধুলির ওপারে তোমার বুকজোড়া
কেয়ার কাঁটা যৌবন; সুখ হাতড়ে বেড়ায়
কিশোরী অনুভূতি গুলো, পথ চিনে নিতে ব্যস্ত
তোমার পদ্মজলে ভেঁজানো পদযুগল
ধুলো জমলে রূপার চূর্ণ হেসে খেলে বেড়ায় ।।


তুমি হেটে যাও, এ হৃদয়ের বালিয়াড়িতে
এলোমেলো তোমার কেয়ার কাঁটার গন্ধে
নাক ডুবিয়ে শুঁকে নিতে দাও আমায়
তোমার দেহস্খলিত ভেঁজা শিহরণে
নিশ্বাস ঘন হোক এই অনাদৃত দুনিয়ার ।।