হূলস্থুল করে বাড়ী সুদ্ধ মানুষ জন
মাথায় তুলে রাখা সেই মেয়েটি আজ কেমন
অমনি বড় হয়ে গেল, তাই
তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেয়া হল
কিছু বুঝতে না বুঝতেই
জীবনের সাথে সম্পূর্ণ অপরিচিতা
সেই মেয়েটির আঁচলে গিঁট পড়ল
আঁচলের মাথায় আজ একগাঁদা চাবির ওজন ।।


রাঁধতে জানে না মেয়ে
আজ বধুঁ হয়েছে,
গালে তুলে না দিলে খেতে পারত না
খাওয়া শেষে মায়ের আঁচলে মুখ মোছা
সেই মেয়েটির আঁচল'ই আজ
অনাগত অস্তিত্ব সত্বাকে আড়ালে রেখে
ক্লান্ত হওয়ার অনুশীলনে ব্যস্ত ।
"মেয়ে" থেকে "মা" হতে চলেছে সে
নতুন একটি অনুভূতির অপেক্ষায়,
যন্ত্রণায় আষ্টে-পৃষ্টে জড়িয়ে দেহ তার,
নাড়ী ছেঁড়ার যন্ত্রণা ।
দাঁতে দাঁত চেপে কান্না আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টায়
বারবার কাৎরে উঠছে সে ।


এইতো কান্নার সময় হয়ে এল তার
দিশেহারা পৃথিবীর সকল জড়তা কাটিয়ে
নিজের অস্তিত্ব প্রচার করবে সে ।


একটি কান্নার আওয়াজ
শত শতাব্দী ধরে অপেক্ষার অবসান ।
স্রষ্টার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সে ,
এখন প্রস্তুত হচ্ছে নিজের পথে
হেঁটে যাবে পৃথিবীর পদচিন্হ ধরে ।


মেয়েটির চোখের জল স্ফুলিঙ্গের মতো
চিকচিক করে উঠবে জন্মদানের উন্মাদনায়,
নবজাতকের কান্নার প্রতিধ্বনিতে
ছাপিয়ে যাবে জন্মদাত্রীর চাঁপা ক্রন্দন ।।
আজ সে --"মা" ।


           *উৎসর্গ
             -আমার আদরের বোন "তাজনূর" কে ।