তোমারে নিয়ে কবিতা লিখতে বলেছিলে আমায়
তারপর রাত উড়িয়ে ধোঁয়াশায়;
সকাল গড়িয়ে দুপুরের রোদ, বিকেলের মৌনতা ভেঙে
গোধুলির পাঁজরে আঁচল টেনে সন্ধ্যা,
আবার রাতের পরে দিন করে কেটে গেল কতকাল।
অচকিতে তুমি অন্যকারো মাত্রাবৃত্ত জীবনে
অন্ত্যমিল হয়ে গেলে; আমার মুক্তক জীবন ছেড়ে
তোমারে নিয়ে লেখা হল না তাই কোন দ্রৌপদী প্রেমের পদাবলী ।


তারপরের অঙ্কে আমার অমিত্রাক্ষর চরণগুলো
আজো রাতজাগা গদ্যে প্রবাহমান
আনমনা আমি রাতসুন্দরী চাঁদের গায়
কত খুঁজেছি তোমার অস্পৃশ্য শরীরের ঘ্রাণ
জানিনি কোনদিন--
ছুঁয়ে দেয়ার অভিলাষ ছিলনা তবু...
দ্রৌপদী জীবনে আমার বিশ্বাস ছিল না বলে
মুক্তক জীবনের অন্ত্যমিল খোঁজার চেষ্টা করিনি ।
অমিত্রাক্ষরটাই আমার শ্রেয় ।।


আজ তোমার ত্রিপদী রাতের মাঝ পর্বে দিগক্ষরা শীৎকার
প্রতিধ্বনিত হয় তোমার নখে আঁকড়ে ধরা রাত
আর চুলের ডগায় বিলি কেঁটে যাওয়া ক্ষিপ্র শিহরণগুলোয় ।


হয়তো নববধূ তোমার--
সদ্য ভাঁজভাঙা দেহের অতিকৌতুহলি লোমকূপ
ক্ষণে ক্ষণে আমারই স্পর্শ পাওয়ার আবদার করে বসে, জানি।
প্রবোধ দেয়ার ভাষা নেই তাই
ভুলে যাওয়ার চেষ্টাটাই করো প্রতিনিয়ত, আর
অজান্তেই হাত বুলিয়ে যাও স্মৃতির হুল ফুটানো বেওয়ারিশ জায়গা গুলোতে ।


...কবিতা লিখতে বসিনি আজ
ভালোবাসার দাবী নিয়েও না
তোমার স্বরবৃত্ত হাসির খানখান শব্দে
আমার ধ্যান ভেঙে যায় কেন বারবার,
সুধু সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেও কখনো
জোসনা লুকানো মেঘে অবসর পেলে
এসে দেখে যেও আমার ছন্নছাড়া জীবনের ধুলো জমা গদ্যগুলো
পদ্যে যারে বাঁধলো না কেউ আজো ।।