পাগলা ঘোড়ার মতো সন্ধ্যার
অন্ধকার যখন এলোমেলো খুর
বসিয়ে বসিয়ে গাঢ় করে চারিপাশ,
ঘিরে ফেলল রাতের প্রকোষ্ঠে।


ঠিক তখন আমি জানিনা কত বৎসর
আগের পুরনো; কোন এক পোড়ো-বাড়ীর ছাদে
চারপাশ ঘন-সবুজ বাঁশ-বনে ঘেরা
আমার তন্ময়তার জায়গা, ভালো লাগার তীর্থস্থানে;
প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা দেখছিলাম।


হঠাৎ ওরা নেমে এলো।
ওরা নেমে এলো ঠিক যেখানটায় চাঁদ---
আধো-বদনে দাড়িয়ে, ঘন মেঘে সে কিংকর্তব্যবিমূড়।


মনে হলো লম্বা-চুল-ওয়ালা
কোন এক রাত-মানবীর চুলের খোঁপা
এক ঝটকায় খুলে দিল কেউ।
অমনি ঝুর-ঝুর করে চাঁদের শরীর এলিয়ে
নেমে আসলো ওরা আমার স্থুল শরীরে।


সে কী ঝরা!
যেন শৈত-সূচের প্রবল প্রবাহ।
এক একটা ফোটা যেন
হাজার বছরের প্রতিজ্ঞা নিয়ে আছড়ে পড়ছে
ঢুকছে আমার শরীরের প্রতিটি রোম-কুপের গোড়া দিয়ে,
এই পোড়ো-বাড়ীর মতো বয়স্ক
আর ভোঁতা হয়ে যাওয়া অনুভুতি গুলো
আমার শরীরে যেন সাঁড় ফিরে পাচ্ছে আবার---
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই এই বৃষ্টির প্রতিটি ফোটায়।
যেন কী তীক্ষ্ন সূচাগ্র!