একটা "মুহূর্ত" কিনলাম আমি তোর জন্য
তারপর তুই-ই হয়ে গেলি আমার সেই "মুহূর্ত"
এরপর তুই "দিন" কিনলি আমার জন্য
দুজন মিলে "রাত" ও কিনলাম।
রাত আর দিন কে বিয়ে করিয়ে দিলাম
আমি আর তুই মিলে;
ওরা স্বামী আর স্ত্রী হলো।
ওদের কিছু বাচ্চাও হলো ।


আহ! কতনা আদুরে' আর স্পর্শকাতর তারা!
তাদের একজনের নাম রাখা হলো--
"অভিমান, আর একজন "খুনসুঁটি"
তারপর যত্ন, শাসন, বারন, ঈর্ষা ও
বন্য সুখ আর নির্ভরতা।
এভাবে করে বাচ্চা গুলা কেউ কেউ বড় হচ্ছিল
আবার নতুন করেও কেউ জন্ম হচ্ছিল।
আস্তে আস্তে ওদের কর্মকান্ডে আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম,
এদের জন্য মনে হতো -- "তুই-ই আমার দুনিয়া
তুই না হলে এগুলো পেতাম না আমি"।
আবার কখনো ভেবেই বসতাম--
"তুই আমি আর এরা ছাড়া আর কেউ-ই কোথাও নাই"।


হঠাৎ একদিন "চুম্বন" নামে একজন জন্ম নিল
সেদিন আমি কেঁপে উঠেছিলাম;
জানি না কেন।...
তারপর দিন ও রাত তাদের মত করে
আমাকে আর তোকে নিয়ে যাচ্ছিল কোথাও
কোন অজানা সুখের গন্ধ পাচ্ছিলাম,
কিন্তু...
হঠাৎ তোর এমন কি হলো!
সব কিছুই ছিনিয়ে নিয়ে নিলি,
আমার কাছ থেকে; কিছুই রাখলিনা অবশিষ্ট।
তোর মতো করে নিয়ে হাটলি তোর পথে
কিন্তু কেন?


...কারণটা জানতে চাইনি কোনদিন; চাইবোও না
শুধু বুঝতে পেরেছি--
তুই আর আমি মিলে' কেনা
সেই রাত, দিন আর মুহূর্ত গুলো এখন আর আমার নেই।।...
তবে কার জন্য দুঃখ করবো বল?
তুই তো ঠিকই বুঝেছিলি আমার দুঃখগুলো
নখে টিপে টিপে চিনেছিলি আমার সুখগুলো
সবই দেখেছিলি আমার,
তবে কাকে নিয়ে দুঃখ করি বল?
সবকিছু জানিস, তারপরও তুই-ই করলি এমনটা!
এটা কাকে বলি বল?
কে বুঝবে?
কাউকে বোঝানোরও দরকার নেই আমার
আমি যে তোকেই ভালোবেসেছি!
নিঃশেষ হয়েছি তোর ও-পৌরুষদীপ্ত বাহুর বাঁধনে
আজ বলার কিছু নেই।


১২,০৫,১৫


**(খুব কাছের কোন এক মেয়ে বন্ধু'র হয়ে লিখেছিলাম এই কবিতাটিতে, তার একান্ত কিছু অনুভূতির কথা।)