হরিণী! তোর পায়ে পায়ে
সাঁজিয়েছি আকাশ আমার
মায়ালুর চোখে সকাল দেখবো বলে।
রে সাদা হরিণী!
মায়ালুর চোখে-চোখে আকাশ আমার---
ঐ চোখেই মাটি;
ইচ্ছা মত উড়ি আমি,
ইচ্ছা হলেই নামি।


অসমাপ্ত কাব্য আমার
পথের মাঝেই ভাঙছে পথ;
তোর চরণে বাঁধবো কলম
চঞ্চলা তুই ভাঙবি কসম
অলস আমার এই গতিপথ,
রুদ্র হবি হরিদ্রা চোখে
আয়েশ করে দেখবি চোখ,
বিকেল আমার দীর্ঘ হবে
তোরই সন্ধ্যায় ভবিষ্যৎ।


বাঁশঝাড়ে ওই দমকা হাওয়ায়
আন্দোলিত শুকনা পাতায়
মুগ্ধ আমার ধ্যান ভাঙাবি
তোর কাঁকনের পিছলা আওয়াজ;
তোর হবো না তুই না হবি
তবু তো তুই কাল কিবা আজ
কেউনা কেউ তোর টানছে আঁচল;
সন্নাসীর এই কাব্য কথায়
তুই নাহয় আজ ভুলিস রে ছল,
জল গড়ালে চোখের কোণায়
আমার চোখে বৃষ্টি ঘনায়
তুইরে তখন থাকিস দূরে
সুর হয়ে নয় কাব্য হয়ে
থাকবি তবু অন্তপুরে---
একটু ছোঁয়া নাইবা হলি
তোর চোখেই ঈগল হয়ে
সন্যাসী এই ইগলটারে
তার কবিতার সকাল দেখতে দিস;
রে সাদা হরিণী!
তোর চোখের ওই জল-সমুদ্র
আকাশ-মাটি সবুজ-রুদ্র
আমি ছাড়া কেউ না চিনে
ভালো করেই জানিস।