সেদিন মোড়ের মাথায়
জন কীটস-কে দেখলাম---
চরম খোশ-মেজাজে আছেন তিনি,
এমনিতেই খাঁটি-সাদা
রোমান্টিক মনের মানুষ কি-না!
কোন কারণে
অতীতের দিন গুলোতে ভুলে যাওয়া
বেরসিক কিছু দুঃখ এসে
তাঁকে বেশ জ্বালাতন শুরু করলো,
কবি তো সেই ক্ষিপ্র-হাতে
টুটি চেপে ধরলেন ওসব দুঃখদের।
মুখটা বেশ খিঁচিয়ে উঠে
কবি বললেন---
"কি রে ব্যাটা,
তুই জানোস কারে জ্বালাইতেসোস"?


একটা একটা করে ওদের,
সুখের স্বর্গ-দুয়ার দেখিয়ে দিয়ে
বেশ তবে ক্ষ্যান্ত হলেন কবি,
বেশি সময় নিলেন না এ কাজে।


এদিকে পার্সি বিশী শেলী,
গুরু তো আরও বেশী তৎপর!


তিনি দুঃখ-কে চিনেনই না;
"কে এই দুঃখ"?
পশ্চিমা বাতাসের ঝাপটানিতে
এসব দুঃখ-টুঃখের প্রভাব
দূর করতে উদ্যত হলেন তিনি,
আফসোস করতেও জানেন না---
স্কাইলার্ক-এর কন্ঠে,
সে কথাও জানিয়ে দিলেন তিনি।


এ সব কিছু দেখে-শুনে
আমি বললাম---
"বেশ"!
তবে তাই-ই হোক!
বঞ্চিত দুঃখগুলো আমার আজ
পথে পথেই কেঁদে বেড়ায়,
পাত্তা দেয়ার সময় কই আমার!


এহ! আফসোস করতে বিশ্বাসী নই আমি।