আমার ঘরনী মাছ কুটতে জানে।
বিকেলের শেষে আনা মাছগুলো
কাটতে-কুটতে সন্ধ্যের আজান হলো;
ঘরনী আমার--- মাছ কাটা শেষে
আঁষ্টে-কাঁটা কোন রকম সরিয়ে রেখে,
নামাজের জন্য পা বাড়ালো অযূ করতে।


মাটির চুলোয় রান্না করা লাগে তার,
লাকড়িও সংগ্রহ করে রাখে
এ কিস্তির জন্য--- আগের কিস্তিতে।
রান্না শেষে
ঘুমে ঢুলু-ঢুলু কেউ,
ছোট বাচ্চাগুলো আমার;
আগে আমার ভাত বেড়ে রাখারপর---
ওদের খাইয়ে ঘুমের বন্দোবস্ত করে
তারপর,
রাতের নামাজের আয়োজনে ব্যাস্ত হয়।


আমি ঘরে ফিরি আরও পরে,
তখনো না খেয়ে তার অপেক্ষা
আমার জন্য;
ক্লান্ত শরীরে ফিরি আমি---
দেখি হাতপাখা হাতে বসে আছে
হয়তো বিদ্যুৎ গ্যাছে চলে।


কখনো পাতে তুলে দিতে দিতে
আমার সাথেই খায় রাতের খাওয়া
কখনো আমাকে খাইয়ে শেষে...


ঘুমন্ত ওদের মুখের পানে একটু দেখি,
ঘুমাতে যাই--- স্বস্তির নিশ্বাস নিতে...
সারা দিনের ঘর-ক্লান্ত অর্ধাঙ্গী আমার
পাশে আসে...


দিনভর ঘরের বাইর সামলেছি আমি,
ঘরেরটা সে; একই দেহের আরেক অঙ্গ;
তার অর্ধেক আমি, সে আমার অর্ধেক---
আধি-আধি এক ...