রাত কেনার গল্পে দিন হলো শেষ;
আমি তবু পড়ে আছি
এই পড়ন্ত বেলায়।


রাতের সাথে আমার সখ্যতা খুব
সে তো সেই কত পুরনো কালের;
তবু রাত কখনো হেলায়
অথবা বেখেয়ালে কখনো
অতৃপ্ত অন্ধকারে, বলেছিল সে---


"দিনান্তে হে'লে পড়া সূর্য্যের মত
একটু হে'লে তাকালে তুমি
পুরুষ; তোমার ঐ শরীরি চোখে,
রোমকূপের গভীরে
গ্রথিত ওই চোখ---
তোমার জন্য রাত হলেম আমি।


যার একজন পুরুষ আছে;
দিনের শেষে তার রাতও আসে।
যে একজন পুরুষ;
দিন শেষে তার পুরো রাতটাই
প্রয়োজন পড়ে।...
যে রাতের তৃষ্ণা ঐ পুরুষের
খেটে খাওয়া আঁটো শরীরের মতই
দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ভিঁজে যায় ঘামে"।


রাত কে শোনালেম আমি ভাঙনের গান;
কিভাবে দিন ভাঙে ক্ষয়ে ক্ষয়ে,
কিভাবে দিন উত্তপ্ত হয়
ক্ষয়ে যাবে বলে।


তবু রাত তেমনি নির্লিপ্ত।
যেন গায়েই মাখলোনা সে-কথা আমার।
এতকিছুপরও,
পথ চিনে নিতে আমি করিনি ভুল।


চোখ রগড়ে-রগড়ে
শীত-বসন্ত আর বিবসনা-গ্রীষ্মের শেষে,
আকাশের শরীর নিংড়ানো বর্ষায়ও
জেগে থেকে চিনেছি রাতের রং।


তাই আজ উদ্ভ্রান্ত এইসব রাত---
মনে হয় একান্তই আমার জন্যে
চোখের তারায় অন্ধকার নিয়ে
খেলা করার...


রাতকে কখনো আর আমি বলিনি কিছুই।
জানি, ও রাখবেনা আমার কথা।
সুখ দেখলেই সুধু পই-পই করে ---
আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করবে,
আর বিপত্তি দেখলেই
বিভীষিকা এনে জড়ো করবে।
তবুও অন্ধকারে আমার জল লুকানোর ছল
রাতজাগা চোখের কালিতে
জল শুকানো-দাগ ঢাকার প্রচেষ্টায়
জেগে থাকি রাতের পর রাত।