জানিনা কে আগে যাবে---  তুই না আমি,
যেতেই হবে সবাইকে।
তুই এসেছিস আমার কত'শ আমার আগে
শতবর্ষীয়া-বৃদ্ধার হাতের কব্জিতে
জেগে থাকা চিপসে যাওয়া শিরার মত
তোকে দেখতে হলেও
বারবার আমি ষোড়শ-ভৈরবীর শরীর কল্পনায়
তোর পাশে এসে বসি, সবুজের কাছাকাছি হয়ে
ভেতরের সবুজাভ ভাবটাকে আরও
শাণিয়ে তোলার বাহনায়; নাহয় মন-খারাপের ভুলোচ্ছলে
তোর শরীর ঘেঁসেই বসে থাকি।
তুই কি ফিরেও দেখিস একবার?
জানিনা; তবু কত কথা তোর সাথে আমার।


দেখে মনে হয়--- তুই আর বেশিদিন নেই;
তোর যৌবনের এমন বেহাল দশা---
কে করেছে জেনে কি হবে!
আমি গেলে মনে রাখিস আমায়
তোরে মনে রাখবো আমি যাওয়ার পরেও;
কথা দিলাম বারবার ফিরে আসবো  আমি তোর হয়ে,
জানি, তোর জন্য এখন কারো সময় নেই,
কারণটা স্বাভাবিক; তুই বুড়িয়ে গেছিস।
কেউ জানেনা তোর ভেতর
কত হারানো যৌবনের পুঞ্জিভুত-ইতিহাস
আমি সেই গল্প শুনতে পাই; তুইও জানিস না
আমি তোর কত মুগ্ধ-শ্রোতা---
কত শত বৎসরের প্রতিজ্ঞা পাড়ি দিয়ে
আমি ছুটে আসি তোর কাছে;
কারণ আমি গেলে আমায় তুই স্মরণ রাখবি
অমরত্বের দৃঢ়-প্রচেষ্টায়।...


*
(বাড়ীর পাশে--- মৃতপ্রায় ভৈরব নদীকে)
১৫.০৭.১৫