ভর-সন্ধ্যেটা কালে;
রাস্তার পাশে পিয়ারী-খালার বাড়ী,
বিরেন-চাচা দিনের কাজের শেষে
ও'বাড়ীর সামনে দিয়ে বাড়ীর পথে ফেরে।


সেদিন পিয়ারী-খালা সন্ধ্যা দিয়ে' পরে
বাড়ীর সামনে হাল্কা ঘোমটা-চোখে দাড়ায়।
বয়স তার চল্লিশ ছোঁবে
তবু তার দেহ যেন সন্ধ্যায়ও আলো ও'রাস্তায় ।
বিরেন-চাচা ওই পথেই ফেরে,
খালা তারে হাত ইশারায় থামায়;
তার ঘোমটা ঈষৎ নামায়।
"কিরে! এত ব্যাস্ত কিসে' বিরু?
বউয়ের বয়স তো যায়-যায়"..


ঘামে ভেঁজা বিরেন-চাচা একটু থমকে থামে;
তারপরে হাত নেড়ে' নেড়ে'
আবার খালায় কয়--
"ওরে! যাওরে যাও!
এত খেটে লাভ কি পাও?
কে' কি দিলো ভাই?
একটু বসে দু'টো কথা বলে যাওয়া যায়"।...


কিসের সন্ধ্যা, কিসের কথা! ইশারা? না আহবান!
কর্ম-ব্যাস্ত বিরেন-চাচার বোঝার সময় নাই ।
সন্ধ্যার-শ্বাস রোধ করে' যেন--
পিয়ারি-খালার হাসি শোনা যায়।


আকাশ ফুঁড়ে ঠিক তখনি
দুই-ঘড়ি-ভাঙা কৃষ্ণার চাঁদ ওঠে চোখ ডলতে' ডলতে'।
যেন কার বিছানা থেকে উঠে এলো এখনি;
চোখের কাঁজল এলোমেলো
লেপ্টে আছে সারা মুখে।...
খিলখিল হাসিতে ফেটে পড়ে সে ;
ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে' ওঠে--
"পোড়ামুখী অগ্নিবালা! তোর ঢঙে বাঁচিনা--
তিরিশে স্বামী খুইয়েছিস; ঊনচল্লিশে এসে এখনো?...
এখনো তোর এত?...
শরীর তো নয়; ও আগুন!
ঊনিশের মতোই পুরুষ খাওয়ার লোভ তোর!
নিজের আগুনেই পুড়ে মরিস না কেন বে??



২৫.০৪.২০১৫