আমার জন্ম আমি সত্যিই দেখেছি
দিব্য চোখে সেই--- দুহিতার করপুট-পুরি
শুনেছি আমার ওঁঙ্কার!
সন্ধ্যার রঙ পাতায় মিলিয়েছে,
ঘাসের শেকড় কেটে চলেছে রাত;
কারো কারো ঘরে চৌকাঠ মাড়িয়ে
ঢুকে পড়েছে সব বুনো-হাওয়া।
কচুর পাতার জলটুকু গড়ালে
তখনেই মিটেছে যেন জন্মের সাধ।
রাত--- গভীর হয়েছে আঁধারে,
ঘুমে--- কাদা হয়ে রয়েছে মানব;
একবার জাগলে বারবারই ঘুমাতে ভালো-বোঝে।
জন্মে-আসার আগের প্রতিজ্ঞাটুকু ভুলতে বসেছে সব।


দিনের আলো-ই অসচ্ছ সবচেয়ে,
রাতের বেঘোরে বেশিই জ্বলে রঙ।
কলার পাতায় বৃষ্টির জল,
জোসনা পড়েছে মেঘ ঢেলে
এত রঙ দেখি--- মোহ ছাড়েনা;
জানি, কার এই কারসাঁজি;
ক'জনা রেখেছে খেয়াল?
কি বলে এসেছিলাম, কি বলা হয়েছে
কি বলি?...


বাঁশের আগায় একটু বাতাসে
ঝড় ওঠে দেখি ঘাসের ডগায়ও,
কী অনুগামীতা!
গাঁটের কড়ির হিসাব রাখতে ক'জনকেই বা দেখেছি।
মানুষ আমি--- এটাই সত্য;
জন্ম মানুষ হয়ে, মৃত্যুতে কি হব ?...
ওপারের কাঠগড়ায় বিচার হবে মানুষ-জন্মের;
কি হয়ে বেঁচেছি ...



২৭.০৮.১৫